খবর৭১ঃঈদের পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দ্বার খুলতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
তিনি বলেন, ঈদের পর আমরা মালয়েশিয়া থেকে ভালো খবর পেতে পারি। আশা করছি ২৯ এবং ৩০ মে মালয়েশিয়ায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ এ শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ভালো খবর আসবে।
রোববার (২৬ মে) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান, অতিরিক্ত সচিব মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির ডিজি সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। রিপোর্টারস ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) সভাপতি ফিরোজ মান্না এবং সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হকও উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, দেড় লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আগে সরকার নির্ধারিত এক লাখ ৬০ হাজার টাকার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে কর্মীদের কাছ থেকে। তখন প্রতিটি কর্মী থেকে ৪ লাখ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে। এবার সেটা যেনো না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আশা করছি আগামী যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ভালো খবর আসবে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স ডেভলপমেন্ট লিমিটেড, ইউনিক ইস্টার্ন এবং রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল নামের কোনো রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পর্কে আমরা জানি না। আর কর্মীদের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাননি, পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতারিত কর্মীরা হাইকমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছেন, গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে, সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তখন প্রতিমন্ত্রী আর এ বিষয়ে আলোচনা দীর্ঘায়িত করেননি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশে প্রশিক্ষিত কর্মী পাঠাতে প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।