হাসপাতালে নবজাতককে ফেলে বাবা উধাও

0
394

খবর৭১ঃফরিদপুর শহরের ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুকে নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এই হাসপাতালের ১০ নম্বর ইনকিউবেটরে চিকিৎসা চলছে গত ১৫ মে জন্ম নেওয়া কন্যা শিশুটির। শিশুটির অভিভাবকরা পালিয়ে যাওয়ায় শিশুটিকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের সুজয় নামে এক ব্যাক্তি সংকটাপন্ন অবস্থায় সদ্যজাত ওই শিশুটিকে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করান। সেই থেকে শিশুটিকে ইনকিউবেটরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই হাসপাতালের নথিতে দেখা যায় শিশুটির বাবার নাম সুজয়। বাড়ি গোপালগঞ্জ দেওয়া আছে।

হাসপাতালের সেবিকারা জানায়, ওইদিন সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে নিয়ে এসে সুজয় নামে পরিচয়দানকারী এক ব্যাক্তি জানান তিনি শিশুটির বাবা। শিশুটির মা খুবই অসুস্থ হওয়ায় তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। শিশুটির সঙ্গে আনুমানিক ৪৮ বছর বয়সী এক নারীও এসেছিলেন। তবে ওই নারীর নাম কিংবা সুজয়ের সম্পূর্ণ ঠিকানা হাসপাতালের নথিতে নেই।

গত ১৮ মে সকাল সুজয় ও ওই নারী হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। তবে শিশুটির চিকিৎসা গত ১০দিন ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্বববধানেই চলছে অভিভাবক ছাড়াই। ওই হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট মো. শফিউল্লাহ শিশুটির চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। শিশুটির কম ওজন (দুই কেজি), খিচুনি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। এজন্য শিশুটিকে ইনকিউবেটরে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক তানভীর আহমেদ জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো। তবে তার অভিভাববকদের সন্ধান না পাওয়ায় নানা জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।

ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহ্উদ্দিন জানান, হাসপাতালের নথিতে শিশুটির বাবা সুজয় যে মোবাইল নম্বর দিয়েছিলেন সে নম্বরে একদফা কথা বলা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে সুজয়ের সঙ্গে কথা বলে শিশুটির ব্যাপারে তার তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

এরপর থেকে গত চারদিন ধরে ওই মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় শিশুটির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

মো. সালাহ্উদ্দিন বলেন, বর্তমানে হাসপাতালের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে। অন্য মায়েদের কাছ থেকে দুধ সংগ্রহ করে শিশুটিকে পান করানো হচ্ছে। ওষুধসহ যাবতীয় সামগ্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরবরাহ করছে।

তিনি বলেন, শিশুটির অভিভাবকেদের খোঁজ পাওয়া না গেলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসককে জানিয়ে এ ব্যাপারে আমাদের পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here