খবর৭১ঃ ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ কেউ এখনও নন-ক্যাডারে নেই। তবে বেশ কয়েকজনকেশুধু উত্তীর্ণেরতালিকায় রাখা হয়েছে।একটা বিসিএসে যতটা পদ ক্যাডারে থাকে ততটা পদে আমরা সুপারিশ করা হয়। আর বাকিদের একটি তালিকা করা থাকে। যদি পরবর্তীতে চাহিদা আসে সেক্ষেত্রে নন-ক্যাডারে তাদের সুপারিশ করা হয়। আর ক্যাডারে তা প্রশ্নই আসে না।
শুক্রবার বিকালে পিএসসির একশীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, জেলখানায় ডাক্তার আছে, ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ে মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আছে, এগুলো নন ক্যাডারে মাঝে মাঝে খালি হয়। যদি চাহিদা আসে সেক্ষেত্রে ওই পদগুলোতে আমরা তাদের জন্য একটা সুযোগ রাখছি।
আর বিসিএস তো পাস করার পরীক্ষা না। এটা তো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। পৌনে পাঁচ হাজার লোক সুপারিশ পেয়েছে। এই পৌনে পাঁচ হাজারের মধ্যে যারা আছে তাদের সুপারিশ তো আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি।
আর এদের তো আমরা রাখছি যদি নন-ক্যাডারে কোনো চাহিদা আসে সেক্ষেত্রে এই তালিকা যারা আছে তাদের নন-ক্যাডারের জন্য সুপারিশ করা হবে। আর যারা নন-ক্যাডারে সুপারিশ পাইনি তারা তো নন-ক্যাডার না।
আর এই পরিস্থিতিতে তাদের নন-ক্যাডার আন্দোলন করাটা একদম অযৌক্তিক। এই আন্দোলনে পিএসসির কিছু করার নেই।
তিনি বলেন, দেশে হাজার হাজার নন-ক্যাডার আছে। যার ম্যাজিস্ট্রেট-ফরেইন ক্যাডার হওয়ার কথা ছিল সে হয় প্রাইমারি স্কুলের হেডমাস্টার। এটাতো আন্দোলনের বিষয় না।
উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, এমন যদি হতো যে আমি পৌনে পাঁচ হাজার পোস্টের ঘোষণা দিয়ে দুই হাজার পোস্টের সুপারিশ করেছি, আর তিন হাজার পোস্টের সুপারিশ করিনি, সেক্ষেত্রে আন্দোলন করলে একটা বিষয় ছিল।
কিন্তু এখানে তো সেই পরিস্থিতি না। প্রতিটি বিসিএসে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী পাস করে। পাস করলেই কি চাকরি হয়? এটা তো বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা না। এটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা।