খবর৭১ঃ বগুড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করা নিয়ে বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিত এবং নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে বিএনপির দুই গ্রুপই কার্যালয় দখল নিতে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
আজ বুধবার বিকাল ৩টায় বগুড়া জেলা শহরের নবাববাড়ি সড়কের জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করতে যায় নবগঠিত আহবায়ক কমিটির নেতাকর্মীরা। এ খবর পেয়ে বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জেলা কার্যালয়ে ছুটে গিয়ে বাধা দেয়। পথমে বাকবিতণ্ডা এবং পরে বাধা দিলে এ নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
জানা যায়, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পর থেকে পদ বঞ্চিতরা আহবায়ক কমিটির বিরোধিতা করে জেলা কার্যালয়ে তালা দেয়া, অগ্নিসংযোগ ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ তালা দেয় অপরপক্ষ তালা খোলে। এনিয়ে পদবঞ্চিতরা আন্দোলন করে আসছে।
এসবের মধ্যেই বুধবার বিকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা জাসাসের সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন পশারী হিরু। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা পরিমল চন্দ্র দাস, শাহ মেহেদী হাসান হিমু, তৌহিদুল ইসলাম বিটু, শাহাবুল আলম পিপলু, ফারুকুল ইসলাম ফারুক, মাসুদ রানা মাসুদ, মাহবুব হাসান লেমন, আবু জাফর জেমস, রবিউল ইসলাম আওয়াল, জুম্মান আলী শেখ, বুলবুল ইসলাম, আবু সাঈদ দুখু, মোমিন আকন্দ, আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজিব।
সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের আহবায়ক কমিটি সঠিক নয়। তারা দলীয় চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভুল বুঝিয়ে এই কমিটি করেন। মামলা-হামলা, জেল-জুলুম পরয়া না করে নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে থেকে বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচি সফল করেছি। অথচ দলের ভিতরের কিছু সুবিধাভোগী যারা সবসময় সুবিধা ভোগ করেছে। তাদের দিয়ে বিএনপি চলবে না। সংস্কারবাদী দিয়ে জেলা বিএনপির কোন উন্নয়ন হবে না। তাই এই আহবায়ক কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠন করার দাবি জানান তারা।