খবর৭১ঃশিশু থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ পর্যন্ত সবাই ডিম খেতে খুব পছন্দ করেন। আবার অনেকে রান্নার ঝামেলা এড়াতে রুটির সঙ্গে ডিম পোছ করে খেয়ে থাকেন। শরীর দুর্বল হলে ডাক্তার সকালবেলার নাশতায় ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডিমের মধ্যে প্রোটিন রয়েছে। অন্যান্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের তুলনায় এর দামও কম। ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে মোটামুটি আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু জানেন কি ডিমের খোসাও খুবই উপকারী!
আপনি জেনে অবাক হবেন যে শরীরে গাঁটের ব্যথা সারাবে ডিমের খোসা। শুধু গাঁটের ব্যথা নয় আরো অনেক কাজে লাগে ডিমের খোসা।
পোকার উপদ্রব
ফুলের বাগানে যদি পোকার উপদ্রব হয় তবে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে দিন। দেখবেন পোকা-মাকড় গাছের ধারে কাছেও ঘেঁষবে না।
কফির তিক্ত ভাব কমাতে
কফির তিক্ত ভাব কমাতে ডিমের খোসা বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে। কফি তেতো লাগলে ডিমের খোসার গুঁড়ো এক চিমটে মিশিয়ে দিন। দেখবেন খোসার গুঁড়ো থিতিয়ে নীচে পড়ে যাবে আর কফির তিক্ত স্বাদও কমে যাবে।
ত্বকের কালচে ভাব
ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে ডিমের খোসা বেশ কার্যকর। ১টা ডিমের সাদা অংশের সঙ্গে একটা বা দু’টো ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মুখে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে উষ্ণ পানি দিয়ে আলতো ঘষে ধুয়ে ফেলুন! এতে ত্বকের কালচে ভাব কেটে যাবে।
গাঁটের ব্যথা
গাঁটের ব্যথা সারাতে ডিম ভালো কাজ করে। ডিমের খোসায় থাকে কোলাজেন, গ্লুকোসামিন, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড যা ভিনিগারের সঙ্গে মিশে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
একটি বাটিতে অ্যাপল সিডার ভিনিগারের সঙ্গে একটা গোটা ডিমের খোসা ভাল করে গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিন। ৩ দিন পর এটি ব্যথার জায়গায় আলতো করে চাপ দিয়ে মালিশ করুন