খবর৭১ঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমইউ) মেডিকেল অফিসার নিয়োগে ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে তা পুনঃনিরীক্ষণের দাবি জানিয়েছেন পরিক্ষার্থী চিকিৎসকরা।
শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (১২ মে) থেকে বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে টানা আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে এই নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
সংবাদ সম্মেলনে চিকিৎসকরা বলেন, সম্পূর্ণরূপে বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য এই নিয়োগের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগপত্র প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সেটাকে গ্রাহ্য না করে আমাদের আশ্বাস দিয়ে এক নিয়োগ নাটক উপস্থাপন করে আমাদের সামনে। তাই অবিলম্বে আমরা ফলাফল বাতিল করে পুনঃনিরীক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।
চিকিৎসকদের দাবিগুলো হলো- পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উঠে এবং যার ভিত্তিতে সাধারণ পরীক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের আশ্বাস দেয়। কিন্তু কোনও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই পূর্ববর্তী (৬ মাস পূর্বে তৈরিকৃত) বিতর্কিত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার তারিখ ২২ মার্চ হলেও তার ৪ দিন পূর্বেই একটি বিশেষ কক্ষে প্রশ্নপত্র খোলা হয়, সেখানে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত ছিলেন।
নিয়োগে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ হলেও তার ঊর্ধ্বের বয়সের অনেক নিয়োগ প্রার্থীরা আবেদন করে বৈধ প্রার্থীর তালিকায় থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
ফলাফলের তালিকা এ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ ব্যক্তি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সন্তান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের মেয়ের জামাতা, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী-২ এর সহধর্মিনীসহ অনেকেই প্রথম সারিতে রয়েছে বলে পরীক্ষিত হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সঙ্গে সংযুক্ত ব্যক্তি পরিবার আত্মীয়স্বজন কেউ পরীক্ষার্থী হলে তিনি আর ওই কমিটিতে থাকতে পারবেন না।
পরীক্ষা কেন্দ্রের কয়েকটি কক্ষ মেডিকেলের প্রশ্নপত্রে ডেন্টাল পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, মেডিকেল এবং ডেন্টালের প্রশ্নপত্র ভিন্ন ছিল। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ রেজিস্ট্রার বরাবর প্রধান করা হলেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ফলাফল প্রস্তুত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পূর্বেই অনেকের কাছে মেডিকেল অফিসার নিয়োগ পরীক্ষার রোল নম্বরসহ একটি তালিকা অনুলিপি পাওয়া গিয়েছে। যা সবার মনে প্রচন্ড ক্ষোভ ও আশঙ্কা তৈরি করে। সেই তালিকার সঙ্গে প্রকাশিত ফলাফলের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে উত্তর সরবরাহ করার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডা. মাইনুল হাসান শিপন, ডা. তুষার, ডা. রাফি সজল,ডা, দাউদ চৌধুরী পলাশ, ডা, মুবিন, ডা. তমাল, ডা. প্লাবনসহ অনেকে।