খবর ৭১ঃ দুই দেশের মধ্যে ক্রমাগত উত্তেজনা বাড়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন তার দেশ ইরানের সাথে যুদ্ধ চায় না। রাশিয়া সফররত পম্পেও বলেন, ইরানের কাছ থেকে ‘স্বাভাবিক দেশের’ আচরণ চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে মার্কিন স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হলে জবাব দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনিও বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনও যুদ্ধ হবে না।
গত বছর ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সাথে তেহরানের স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণার পর ইরানের ওপর চাপ বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে ওয়াশিংটন। সেই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে উপসাগরীয় এলাকায় যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। রবিবার আমিরাতের উপকূলে চারটি ট্যাঙ্কারে বিস্ফোরণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। মার্কিন তদন্তকারীদের বিশ্বাস ইরান অথবা তাদের সমর্থিত কোনও গ্রুপ এই বিস্ফোরণের সাথে জড়িত। তবে তার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর তেহরান বিস্ফোরণে নিজেদের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে রাশিয়ার সোচি শহরে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাবরভের সাথে বৈঠক করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। সেখানে পম্পেও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘মৌলিকভাবে’ ইরানের সাথে কোনও সংঘাত চায় না। তিনি বলেন, আমরা ইরানিদের কাছে স্পষ্ট করতে চাই যে যদি আমেরিকান স্বার্থের ওপর আক্রমণ করা হয় তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবে যথাযথ উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানাবো’।
এদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা স্পষ্ট করে বলেছেন, পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তেহরান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোনও আলোচনা করবে না। খোমেনি বলেন, কিন্তু আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ চাই না, তারা চাইতে পারে। সোমবার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে খোমেনি বলেন ইরান কারো কাছে ভীত নয়। তিনি বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা এই কঠিন সময় সম্মানের সাথে পার হয়ে যাবো এবং আমাদের মাথা থাকবে উঁচু আর শত্রুরা পরাজিত হয়ে যাবে।