মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর( নীলফামারী) থেকেঃ
সৈয়দপুরে মূল্য তালিকা না টাঙ্গানো, অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষতিকর রং মিশিয়ে লাচ্ছা তৈরী, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খাবার তৈরী, পরিবেশন ও আয়োডিনবিহীন লবন বিক্রি, ও ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকার দায়ে ৯ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মালিকের অর্থদন্ড করা হয়েছে। এসময় একটি লাচ্ছা তৈরী প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ ঘোষণা ও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খাদ্য এবং লবন ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সৈয়দপুরের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় দপ্তরের উপ-পরিচালক খন্দকার মো. নুরুল আমিনের নেতৃত্বে ওই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান চলাকালে শহরের মাংস বাজারে মূল্য তালিকা না থাকায় এবং অপরিচ্ছন্ন মাংস বিক্রি করার দায়ে সুরুজ মাংস দোকানের মো. সুরুজের (৩০) তিন হাজার টাকা,তৃপ্তি মাংস বিতানের শওকত আলীর(২৫) এক হাজার, ডিজিটাল ওজন পরিমাপক যন্ত্র না থাকায় মাছ ব্যবসায়ী মানিকের (২৯) পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া শহরের পাঁচমাথা মোড়ের আমির হাদিস মুদি দোকানে ক্ষতিকর রং মেশানো এবং মেয়াদোত্তীর্ণ রঙিন চিপস্ বিক্রির অভিযোগে প্রতিষ্ঠান মালিক মুরাদের (২৮) দুই হাজার টাকা, চিকলী বাজারে
রবিউল হোটেলে নোংরা পরিবেশে ইফতার তৈরী, বাসি মিস্টি ও খাদ্য বিক্রির দায়ে রবিউলের (৪০) দেড় হাজার, একই অভিযোগে কামারপুকুর বাজারে শহিদুল হোটেলের শহিদুল ইসলামের (৬০) চার হাজার টাকা,ও ফজলুল হকের (৪৫) দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় ওইসব হোটেলের খাবার ধ্বংস ও নোংরা থালাবাসন ভেঙ্গে ফেলা হয়।
এদিকে শহরের নিয়ামতপুর জুম্মাপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে লাচ্ছা তৈরী করার দায়ে শাহিন লাচ্ছা সেমাই কারখানার মালিক শাহিনের (৪০) দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় অভিযান পরিচালনাকারী দল কারখানটি সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন। একই দিন শহরের বিভিন্ম এলাকায় বিক্রি করা আয়োডিনবিহীন লবন জব্দ ও ধ্বসং করা হয়।
অভিযান চলাকালে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মোছা. মমতাজ বেগম ও মোছা. আফসানা পারভীন,নীলফামারী জেলা ব্রেড বিস্কুট প্রস্তুতকারক ও বেকারী মালিক সমিতির সভাপতি মো. আকতার সিদ্দিকী পাপ্পু, সৈয়দপুর মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. নাদিম কোরাইশি ছটু, উপজেলা ও পৌর স্যানেটারি পরিদর্শক যথাক্রমে মো. অহিদুল হক ও আলতাফ হোসেন সরকারসহ পুলিশ সদস্যরা।
এব্যাপারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয়,কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. খন্দকার আমিন জানান, নিরাপদ খাদ্য তৈরী এবং বাজারজাত নিশ্চিতে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোন অসাধু ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবেনা।