খবর৭১ঃ ৫-৬ ঘণ্টা আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে ফণীর ছোবল। গত তিন দিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পরে হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, শুক্রবার (৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে সাইক্লোন ফণী।
এখন সেই পূর্বাভাস বদলে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের (আইএমডি) অতিরিক্ত মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে কোনও এক সময়ে ফণী আছড়ে পড়বে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ওড়িশার দক্ষিণের পুরী উপকূল সংলগ্ন গোপালপুরে।
এ সময় বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার। যা সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।এরপরে তটরেখা ধরে সেটি পশ্চিমবঙ্গে ঢুকে দক্ষিণবঙ্গের ওপর দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যেতে পারে।
শুক্রবার সকালে কলকাতাভিত্তিক বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা’র এক প্রতিবেদন থেকে এ খবর জানা যায়।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আবহাওয়া অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেন, জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসেব অনুযায়ী গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। ফণীর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দেড় মিটার উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। ব্যহত হতে পারে সড়ক ও ট্রেন যোগাযোগ।
এদিকে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এনডিআরএফ) থেকে ওড়িষা, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে ৪১টি বিশেষ টিম পাঠানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আরো ২৩টি টিম।
ওড়িষায় খোলা হয়েছে ৮৭৯টি সাইক্লোন সেন্টার। যাতে ১০ লাখ লোকের জরুরি অবস্থানের ব্যবস্থা রয়েছে। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী হেলিকপ্টার এবং জাহাজের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িষা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে বিমান বাহিনী।
এছাড়া আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ওড়িষা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য এক হাজার কোটি রূপি ছাড় দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে।
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ বাংলাদেশের দেওয়া নাম। এর অর্থ সাপ বা ফণা তুলতে পারে এমন প্রাণী। ইংরেজিতে (Fani) লেখা হলেও এর উচ্চারণ ‘ফণী’।
খবর৭১/জি