খবর৭১ঃ নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সোনাগাজী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার হওয়া ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা তদন্তে এসেছে পিবিআই।
বুধবার বিকালে সোনাগাজী আসে পিবিআই সদর দফতরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিমা সুলতানার নেতৃত্বে একটি তদন্ত দল।
প্রথমে সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, সোনাগাজী মডেল থানার এসআই করিমুল হকের বক্তব্য নেয় পিবিআইয়ের তদন্ত দল।
গত ২৭ মার্চ মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত তার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে সেখানে ওসি মোয়াজ্জেম তার মোবাইলে নুসরাতকে ধমক দিয়ে ভিডিও রেকর্ডিং করেন।
নুসরাতের গায়ে দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ করার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নুসরাতের মৃত্যুর পর এ ঘটনায় সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে ওসির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
ওই মামলা তদন্তের স্বার্থে ওসি মোয়াজ্জেমের ব্যবহৃত দুটি ফোন জব্দ করে পিবিআই।
সোনাগাজী থানার এসআই নুরুল করিম জানান, এ ব্যাপারে বুধবার বিকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং বিষয়টি সম্পর্কে ব্ক্তব্য নিয়েছে পিবিআই।
সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, ওই দিন ওসি নুসরাতের বক্তব্য রেকর্ডিং করার সময় তিনি ওসির কক্ষে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি (মেয়র) নুসরাতের বান্ধবীর বক্তব্য শুনে বিষয়টি আইনের চোখে দৃষ্টিকটু বলে বের হয়ে যান। ওই সময় নুসরাতের বান্ধবী, এসআই করিমুল হক, নুসরাতের মা ও দুই ভাই উপস্থিত ছিলেন।
তদন্তের ব্যাপারে জানতে চাইলে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিমা সুলতানা বলেন, আজকে (বুধবার) আমরা থানার কার্যক্রম শেষ করেছি। সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।