খবর৭১ঃ অজানা এক আতঙ্কে ভুগছেন দুর্বৃত্তদের আগুনে পুড়ে নিহত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় সংসদ সদস্যের কাছে তাদের আতঙ্কের কথা জানিয়ে নিরাপত্তা চেয়েছেন তারা।
নুসরাতের বড় ভাই মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে বলেন, ‘আমরা আসামি করি নাই এমন লোককেও পিবিআই মামলা তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করেছে। পিবিআই বলেছে- হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্রেফতারকৃতদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা কারাগারে রয়েছে। কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজনরা কারাগারের বাইরে আছেন। যে কোনো সময় বিপদ বা অঘটনের আশঙ্কা করে আমরা এক অজানা আতঙ্কে রয়েছি।’
এ সময় সংসদ সদস্য সান্ত্বনা দিয়ে নুসরাতের পরিবারকে জানান, মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। কোনো ভয় বা আতঙ্কে না থেকে নির্ভয়ে থাকার আহ্বান জানান সংসদ সদস্য।
বুধবার নুসরাতের বাড়িতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একই চিত্র। নুসরাতের দুই ভাই ও বাবা জানালেন সেই অজানা আতঙ্কের কথা। তাদের দাবি, মামলার রায় হওয়া পর্যন্ত যেন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
বর্তমানে কেউ তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তারা জানান, এখন পর্যন্ত কেউ প্রকাশ্যে হুমকি না দিলেও কারাবন্দি আসামিদের স্বজনদের আচার-আচরণ সন্দেহজনক। তাদের আচার-আচরণ উদ্বেগজনক বলে নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছে নুসরাতের পরিবার।
নুসরাতের পরিবারের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করে তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন জানান, নুসরাতের বাড়ি ও তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গত ৮ এপ্রিল থেকে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। শুধু মামলার রায় নয়, যত দিন পর্যন্ত নুসরাতের পরিবার নিরাপত্তা চাইবে তত দিন পর্যন্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর শঙ্কার কারণ নেই।