খবর৭১ঃ লেবুর শরবত খাওয়াতে যাওয়া জুরাইনের বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমানের মাথায় গোলমাল আছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেসরকারি এক টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন দাবি করেন তিনি।
ঢাকা ওয়াসার পানি ‘শতভাগ বিশুদ্ধ’- মঙ্গলবার এমডি তাকসিম এ খানের এমন দাবির প্রেক্ষিতে ওইদিনই বেলা ১১টার দিকে তাকে ওয়াসার ‘সুপেয় পানি’ দিয়ে বানানো শরবত খাওয়াতে কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনে যান মিজানুর রহমান।
কিন্তু অনেকক্ষণ ভবনের সামনে অপেক্ষা করলেও শরবত পানে অস্বীকৃতি জানান ওয়াসা এমডি। তবে তিনি স্বীকার করেন লাইনের সমস্যার কারণে ওয়াসার প্রায় ৪০ ভাগ পানি ব্যবহারের অযোগ্য।
ওয়াসার পানি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে তাসকিন এ খান বলেন, ‘টিআইবির রিপোর্ট আমি প্রত্যাখ্যান করছি। এ নিয়ে কোনও কথা বলতে আমি রাজি নই।’
সেইসঙ্গে ওয়াসার পানি নিয়ে নগরবাসীর প্রতিবাদ কর্মসূচিকে ‘সাজানো নাটক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমরা আমাদের স্টাডি থেকে পেয়েছি যে, লিকেজ থেকে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়। এখন জানা দরকার, মিজানুরকে দিয়ে এই ষড়যন্ত্র করালো কে? বিষয়টি পুরোপুরি সাজানো নাটক।’
মিজানুরের দিকে পাল্টা অভিযোগ তুলে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘এটা তার বাসার পানি না। তাকে কে বা কারা সহযোগিতা করছে, এটা জানা দরকার। কারণ, সরকাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে অনেকেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’
তিনি বলেন, ‘মিজানুরের ভাই বলেছে, তার ভাইয়ের মাথায় নাকি একটু গোলমাল আছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে চাই না।’
এদিকে মিজানুর রহমান গতকাল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পূর্ব জুরাইনের দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ উদ্যোগ নিয়েছেন। আমাদের এলাকার পানি খুবই খারাপ, দুর্গন্ধযুক্ত ও ড্রেনের পানির মতো। ২০১২ সালে আমরা জুরাইনের সাড়ে ৩ হাজার বাসিন্দা গণস্বাক্ষর নিয়ে ওয়াসার এমডি বরাবর একটি অভিযোগ করেছিলাম। সেই অভিযোগে কোনো কাজ হয়নি। এখনো প্রতিদিন ময়লা পানি আসে।আমরা কয়েক বছর ধরে ওয়াসার পানি শুধুমাত্র গোসল, কাপড় ও বাসনকোসন ধোয়ার জন্য ব্যবহার করছি। খাওয়ার জন্য মসজিদের টিউবওয়েলের পানি কিনে খাচ্ছি। প্রতি ১০ লিটার পানির জন্য ২ টাকা দিতে হয়। এ অবস্থায় ওয়াসার এমডি কী মনে করে পানিকে শতভাগ সুপেয় বললেন, তা আমাদের বোধগম্য হয়নি।