খবর৭১ঃ বিতর্কিত হলেও সারা দেশের প্রতিটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম চালু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ফরিদপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেছেন, ‘অনেক সমালোচনা হচ্ছে ও হবে। এরপরও ইভিএম থেকে ফিরে আসব না। ইভিএম চালু হবে সব ভোটকেন্দ্রে। নির্বাচনব্যবস্থাকে ডিজিটাল রূপ দেয়াই আমাদের লক্ষ্য।’
ইভিএম চালু হলে অনেক সমস্যা কমে যাবে, দুর্নীতি কমে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে নূরুল হুদা বলেন, ‘অনেক দেশ ইভিএম চালু করে বাদ দিয়েছে। এসব নির্ভর করে নিজ নিজ দেশের বাস্তবতার ওপর। অন্য দেশের বাস্তবতা একরকম, আমাদের দেশের বাস্তবতা আরেক রকম।’
তিনি আশ্বাস দেন, ‘ইভিএম মেশিনে এক বাটনে চাপ দিলে সব ভোট এক মার্কায় যোগ হওয়ার সুযোগ নেই। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই সব করা হবে। আপনারা সবই দেখতে পাবেন।’
সিইসি জানান, ‘গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে—এটা একটি অসম্ভব প্রক্রিয়া।’ ভোটার কম উপস্থিতির বিষয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল যোগ না দেওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।
নূরুল হুদা জানান, ‘ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ঠেকাতে ভোটের দিন সকালবেলা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স সরবরাহ করার বিষয়টি চিন্তা করেছিল কমিশন। পরে দেখা গেছে এটি কার্যত বাস্তবসম্মত নয়, তাই বাদ দেওয়া হয়েছে।’
স্মার্ট কার্ডকে জাতির জীবনে একটি বিরাট অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটি মূলত একটি তথ্যভান্ডার হয়ে উঠবে। এই তথ্যভান্ডারে ওই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য মজুত থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. সাইফজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা, ফরিদপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সাইফুজ্জামান, ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা নূরুজ্জামান তালুকদার। উপস্থাপনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান।