খবর৭১ঃ চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রুহুল আমীন (৪৮) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন পুলিশের দুই উপ-পরিদর্শকসহ তিন সদস্য। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার উকতো গ্রামের একটি বাঁশ বাগানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শান্তিপাড়ার মৃত মফিজ উদ্দীনের ছেলে। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, একদল মাদক ব্যবসায়ী উকতো গ্রাম দিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক পাচার করবে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি টহল দল ওই এলাকার একটি বাঁশ বাগানে অবস্থান নেয়। রাত ২টার দিকে ৭/৮ জন মাদক ব্যবসায়ী মাথায় করে বস্তাভর্তি মাদক বহন করছিল। এ সময় তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করা হলে মাদক ব্যবসীয়রা পুলিশের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। আত্ম রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, ১৫ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এ সময় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমীনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুটি ধারালো হাসুয়া ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে আহত হয়েছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক একরাম হোসেন, ভবতোষ কুমার ও একজন সদস্য। তারা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান জানান, নিহত রুহুল আমীন জেলা পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে জেলার বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা রয়েছে।