মঙ্গল শোভাযাত্রা থেকে বিরত থাকার আহ্বান শফীর

0
777

খবর ৭১ঃ পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও ‘গানবাদ্যের’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আহমদ শফী।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে মঙ্গল শোভাযাত্রার যে আয়োজন করা হয়, তা ইসলামী শরিয়ত সমর্থন করে না। কোনো ইমানদার মুসলমান মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। ষোড়শ শতকে মুঘল সম্রাট আকবরের সময় বর্তমানের যে বাংলা বর্ষপঞ্জি তৈরি হয় তা ফসল রোপণ এবং কর আদায় সহজ করার উদ্দেশ্যেই করা। হালখাতা, পিঠা-পুলি বানানোর মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হচ্ছিল। এতে নতুন নতুন যেসব আয়োজন যোগ হচ্ছে তাতে যেমন ধর্মীয় বিধানাবলির বিপরীতে অবস্থান নেওয়া হচ্ছে তদ্রূপ আমাদের সংস্কৃতি হুমকিতে পড়ছে। কারণ জাতীয়তার চেয়ে জাতিসত্তার পরিচয় বড়। আর এসব আয়োজনে ধীরে ধীরে যেভাবে বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে তা বাংলাদেশি মুসলমানদের জন্য কখনোই কল্যাণকর হবে না।

বিবৃতিতে হেফাজত আমির তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা মঙ্গল শোভাযাত্রা ও গানবাদ্যের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা থেকে নিজেদের বিরত রাখ। যৌবনকাল আল্লাহ তায়ালার সবচেয়ে বড় নেয়ামত। তোমাদের মূল্যবান সম্পদ তারুণ্য যিনি দান করেছেন তার ইবাদতে ও তার সন্তুষ্টিতে তা কাজে লাগাও। জীবন সুন্দর হবে, আত্মিক প্রশান্তি লাভ করবে।

আহমদ শফী বলেন, মানুষের জীবনের কল্যাণ ও মঙ্গল-অমঙ্গল সবকিছুই আমাদের সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার হুকুমে হয়। পৃথিবীর সব বিশ্বাসীরা এটাই বিশ্বাস করেন। কোনো মূর্তি, ভাস্কর্য, পোস্টার, ফেস্টুন ও মুখোশে মঙ্গল-অমঙ্গল থাকতে পারে না। বাঘ, কুমির, বানর, পেঁচা, কাকাতুয়া, ময়ূর, দোয়েলসহ বিভিন্ন পশুপাখি মঙ্গল আনতে পারে না।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে মাত্র ২৮ বছর আগ থেকে শুরু হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা কীভাবে সর্বজনীন বাঙালি উৎসব ও সংস্কৃতি হতে পারে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here