খবর৭১ঃ ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির হত্যাকারীরা কেউ ছাড় পাবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। যারা বোরখা পরে নুসরাতের শরীরে আগুন লাগিয়ে হত্যা করেছে, তারা কেউ ছাড় পাবে না। তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে।’
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে বাঁচাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখজনক, মেয়েটি আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। তাকে হত্যা করা হয়েছে বোরখা পরে হাত মুখ ঢেকে। ওকে আগুন দেয়া হয়েছে। এরা কেউই ছাড় পাবে না ।’
বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, এইচ টি ইমাম, অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সৈয়দ রেজাউল রহমান, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রফেসর আব্দুল খালেদ, প্রফেসর হামিদা বানু, মুকুল বোস, অ্যাম্বাসেডর জমির, মশিউর রহমান, মহীউদ্দিন খান আলমগীরসহ অন্যরা।
উল্লেখ্য, নুসরাতকে যৌন হয়রানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজদ্দৌল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু কারাগার থেকেই তিনি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নুসরাতের পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন। এর মধ্যে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৬ এপ্রিল তাকে নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে নুসরাতের চিকিৎসা চলে। কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় নুসরাত মারা যান।