খবর ৭১: বাংলাদেশের হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরের পরিবর্তে এখন থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই সম্পন্ন হবে।
শুক্রবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বাংলাদেশে সফররত সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে। সেখানেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। উভয় পক্ষ বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সৌদি আরবের পরিবর্তে বাংলাদেশে সম্পন্ন করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখনকার নিয়মে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের যাত্রীরা শাহজালাল বিমানবন্দরে বাংলাদেশ অংশের ইমিগ্রেশন করেন। আসন্ন হজেও একই নিয়মে তারা হজ ক্যাম্প ও শাহজালালে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা সারবেন।
এরপর উভয় বিমানের হজযাত্রীদের শাহজালাল বিমানবন্দরের একটি এক্সক্লুসিভ জোনে নিয়ে যাওয়া হবে। সৌদি আরবের জেদ্দায় যে ইমিগ্রেশনের কাজ হত তা ওই জোনেই হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এক্সক্লুসিভ জোনের সব কার্যক্রম থাকবে সৌদি আরবের নিয়োজিত টেকনিক্যাল টিমের হাতে। দুই ধাপের ইমিগ্রেশন শেষে হজযাত্রীরা ফ্লাইটে উঠবেন। সৌদি আরবে ইমিগ্রেশনের ঝামেলা আর থাকবে না। ফলে হজযাত্রীদের জেদ্দা বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করার বিড়ম্বনা লাঘব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঠিকমতো সম্পাদনের লক্ষ্যে এবার হজ ভিসার জন্য দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার আগেই দেশের আট বিভাগে প্রত্যেক হজযাত্রীর ১০ আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হবে।
সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান ছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।