খবর ৭১: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ১২তম দিনে বিভাগীয় কমিশনার আয়োজিত বৈঠকে অচলাবস্থার নিরসন হয়েছে। সেই সাথে উপাচার্যকে ছুটি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম রবিবার থেকে চালু ও শনিবার রাতের মধ্যে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শুরু হয়ে দিনভর বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের সাথে বরিশাল সার্কিট হাউসে দফায় দফায় বৈঠক শেষে মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে এ ঘোষণা দেন।
এসময় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে, দাবির যৌক্তিকতা পেয়েছি। আমরা সবার সাথে আলোচনা করে শনিবার থেকে হল ও রোববার থেকে সকল একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই সাথে উপাচার্যকে ছুটি দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আলোচনাসভায় মন্ত্রী ছাড়াও বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার রামচন্দ্র দাস, জেলা প্রশাসক এমএম আজিয়র রহমান, পুলিশ কমিশনার মোশাররফ হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন মহসিন হুসাইন, রেজিস্ট্রার হাসিনুর রহমান ও ছাত্র প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সফল হওয়ায় ছাত্ররা আনন্দ মিছিল করে সড়ক প্রদক্ষিণ করে। তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। এতে উপাচার্য ইমামুল হক ক্ষুব্ধ হয়ে এদিন এক অনুষ্ঠানে আন্দোলনরত সকল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যারা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ও একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে না বা আসে না তাদেরকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলা দুষ্কর, তারা রাজাকারের শামিল।
উপাচার্যের এ বক্তব্যের ফলে আন্দোলন আরও বেগবান হয়ে ওঠে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়। এ ঘোষণা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়।