খবর ৭১ : সুনির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে আবেদন করা হলে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে চিন্তা করবে সরকার। এ কথা বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল। শনিবার জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার শারীরিক অবস্থা ভালো। তারপরও বিএনপি যদি তার চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তির আবেদন করে, সেটি যদি যৌক্তিক মনে হয় তবে বিষয়টি সরকার ভেবে দেখবে।
চিকিৎসা ও প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিদেশে যাওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে খালেদা জিয়ার নিজের সিদ্ধান্ত ও ছেলে তারেক রহমানের উপর। সূত্র জানায়, তার মুক্তির বিষয়ে পর্দান্তরালে এক ধরনের সমঝোতার চেষ্টা চলছে। সরকারে উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে কূটনীতিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। সেখানে চেয়ারপারসনের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাদের সহায়তা চাওয়া হয়। যদি তার মুক্তি মেলে তাহলে চিকিৎসার জন্য সৌদি আরব অথবা যুক্তরাজ্যে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসব সংবাদকে পাত্তা না দিয়ে বিষয়টিকে ভিত্তিহীন ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, যেহেতু আমাদের নেত্রী অসুস্থ, তিনি হাসপাতালে ভর্তি,তার চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ’র বোর্ড রয়েছে, তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদি তারা এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত দেনও তাহলে প্রথমে এটা আমাদের নেত্রী উপর নির্ভর করবে। উনি যদি মনে করেন বিদেশে গেলে তার জন্য সুবিধা হবে। তবে এটা হতে পারে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, প্যারলে মুক্তির জন্য আবেদন করতে হয়। সেটা কেউ কি করেছে? আমার জানা নাই। সংবাদপত্রগুলো যা পারছে, তাই লিখছে। এতে আমাদের কি বলার আছে? বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা খুব ভালো করেই চেনেন, প্যারোলের বিষয়ে সম্পূর্ন সিদ্ধান্ত হবে তার। ম্যাডাম যেটা মনে করবেন সেটাই হবে আসল সিদ্ধান্ত। উনি এতো অসুস্থতার পরও এখনো পর্যন্ত এ নিয়ে এমন কিছু তিনি বলেন নাই। কাজেই এটা ভিত্তিহীন গুজব। এ নিয়ে দলের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি।
প্রসঙ্গত, দুর্নীতির দুই মামলায় গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ দাবি করে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি।গত সপ্তাহে খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।এরইমধ্যে খালেদা জিয়ার প্যারেলো মুক্তি নিয়ে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।