অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকার ৪২২টি হাসপাতাল

0
463

খবর৭১ঃ ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে রাজধানী ঢাকার ৪২২টি হাসপাতাল-এমন তথ্য প্রায় দুই বছর আগেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হাসপাতালগুলোকে একাধিকবার সতর্কীকরণ চিঠিও দিয়েছিল সংস্থাটি। দেয়া হয়েছিল ৩০ দফা নির্দেশনাও।

এমনকি প্রধানমন্ত্রী নিজেও হাসপাতালগুলোতে অগ্নিনিরাপত্তার জোরদারে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া এ দীর্ঘ সময়েও টনক নড়েনি কর্র্তৃপক্ষের। এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।

তবে ২১ মার্চ বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিদুর্ঘটনার পর নড়াচড়া দিয়ে উঠেছে হাসপাতালগুলোর নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সরকারি হাসপাতালগুলোতে অগ্নিনির্বাপণে কী ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে- তা জানতে চেয়েছে মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি হাসপাতালগুলোকে অগ্নিনির্বাপণ মহড়া আয়োজনেরও নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনার পর নানা তৎপরতা শুরু করে মন্ত্রণালয়। হাসপাতালগুলোতে দেয়া হয় নানা নির্দেশনা। ওই সময় দেশের সব হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাসপাতালগুলোর অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে ফের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতর ২০১৭ সালে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি যেসব হাসপাতাল অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে সেগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় নাম আসে ৪২২টি হাসপাতালের। এতে ১৭৪টিকে ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ ও ২৪৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পর শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেবাশীষ বর্ধন শুক্রবার টেলিফোনে বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনার পর রাজধানীর সব হাসপাতালের প্রতিনিধি নিয়ে সভা করা হয়। সেখানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিও ছিল। এরপরও আমরা তিন দফা নোটিশ পাঠিয়েছি। কিন্তু কেউ যদি গুরুত্ব না দেয় তাহলে কী করার আছে।

জানা গেছে, ৪২২টি হাসপাতাল ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করার পর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে হাসপাতালগুলোকে মৌখিকভাবে সতর্ক করার পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ চিঠি দেয়া হয়েছিল। এতে বলা হয়, হাসপাতালগুলো যদি সমস্যার দ্রুত সমাধান না করে, তাহলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হতে পারে, ঘটতে পারে ব্যাপক হতাহত ও প্রাণহানির ঘটনা।

সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকরা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল, হৃদরোগ হাসপাতাল, মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটসহ সরকারি বেসরকারি পর্যায়ের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের অবস্থাই ঝুঁকিপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডি ব্লক নিয়ে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা বেশ সংকিত।

সুউচ্চ ওই ভবনটিতে নেই পর্যাপ্ত খোলামেলা স্থান, জরুরি বহির্গমনের ব্যবস্থা, বিকল্প সিঁড়ি, এমনকি সব লিফট পাশাপাশি। এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরনো ভবনের অবস্থাও অনেকটা একই রকম। সুদীর্ঘ এই ভবনে জরুরি বহিঃনির্গমন ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। ভবনের নির্দিষ্ট দূরত্বে কিছু গেট থাকলেও সেগুলো সবসময় থাকে বন্ধ। মিটফোর্ড হাসপাতালের অবস্থা আরও খারাপ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া যুগান্তরকে বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে আগুন লাগার পরেই আমরা একটি মহড়া পরিচালনা করি। সেখানে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী, ফায়ারের ডিজি ছিলেন। তখন দেখা গেছে, আমাদের গেট দিয়ে ফায়ারের বড় গাড়ি ঢুকতে পারে না। তাই গেট সম্প্রসারণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সব ব্লকের সিঁড়ি, লিফট সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। এছাড়া প্ল্যানে ত্রুটি থাকায় ডি ব্লক ঝুঁকিমুক্ত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির যুগান্তরকে বলেন, ফাঁকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই ভবন শিগগিরই ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে করা হবে ৫ হাজার শয্যাবিশিষ্ট নতুন ভবন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে কীভাবে মোকাবেলা করা যায়, সে ব্যাপারে একটা নির্দেশনা দিয়েছি। শিগগিরই অগ্নিমহড়া করতে বলেছি। অগ্নিনির্বাপণে যেসব যন্ত্রপাতি রয়েছে, সেগুলো পরীক্ষার জন্য বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর অগ্নিনির্বাপণে সক্ষমতা বাড়াতে আমরা একটা বড় পরিকল্পনা নিয়েছি। তবে এটায় সময় লাগবে। সব হাসপাতালে আধুনিক ব্যবস্থা হিসেবে ফায়ার অ্যালার্ম, ধোঁয়া শনাক্তকরণসহ প্রয়োজনীয় সব যন্ত্র স্থাপন করা হবে।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার টেলিফোনে যুগান্তরকে বলেন, আগামী ১৬ থেকে ২০ এপ্রিল দেশব্যাপী স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ পালিত হবে। এর মধ্যে একদিন অগ্নি নির্বাপণ মহড়া করতে সরকারি হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক হাসপাতালে এই সময়ে একটি সেবা ও রোগী নিরাপত্তা কমিটি করতে বলা হয়েছে। যারা প্রতি মাসে একটি সভা করে সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে এখনও এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়নি। পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। কোনো হতাহত না হলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং রোগীদের পুনর্বাসনে বেগ পেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এরপর অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে কাজ শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম বড়ুয়া যুগান্তরকে বলেন, ইতিমধ্যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে সিভিল ও ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে একাধিক আলোচনা হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন মেরামত, ফায়ার এক্সটিংগুইশার আপডেট করা, পানির বিকল্প সোর্স স্থাপন, একাধিক বহির্গমন পথ সৃষ্টির ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানান, পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনায় পানির পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে একটি রিজার্ভার তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ফায়ার হাইড্রেন্ট নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। হাসপাতালজুড়ে ফায়ার অ্যালার্ম, স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করা হচ্ছে। এমনকি হাসপাতালের ওপরে যে অতিরিক্ত তিন তলা নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানেও আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে। তিনি জানান, নতুন যে লিফটগুলো স্থাপন করা হবে সেগুলো হবে ফায়ার ফ্রেন্ডলি এবং দরজাগুলো হবে ফায়ার ফ্রেন্ডলি ডোর ইউথ এক্সিট।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে যে হাসপাতালগুলোকে যে ৩০ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, ব্যবহৃত ফ্লোরের আয়তন, ভবনের সাধারণ সিঁড়ির প্রশস্ততা, অগ্নিনির্বাপণ কাজে সিঁড়ির ব্যবস্থা, জরুরি প্রস্থানের সিঁড়ির সংখ্যা ও প্রশস্ততা নির্ধারণ; প্রতি তলায় সেফটি লবির ব্যবস্থা রাখা; জরুরি বহির্গমন পথ মার্কিং ও ভবনের ছাদ টিনশেড কিনা- তা যাচাই করা; ছাদে ওঠার সিঁড়ি সংখ্যা ও প্রশস্ততার দিকে নজর রাখা; ছাদের দরজা খোলা ও ভবনের বহির্গমন দরজার ব্যবস্থা রাখা; আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভ ট্যাংক (৫০ হাজার গ্যালন) রাখা; ১০ হাজার গ্যালনের ওভারহেড ওয়াটার ট্যাংক থাকা, বৈদ্যুতিক তারের কনসিল ওয়্যারিং থাকা; বৈদ্যুতিক বোর্ডের প্রধান সুইচ বক্স, সুইচ বক্স জংশন বক্স এবং ডিমান্ড বক্স নিরাপদ অবস্থানে রাখা; প্রতি ফ্লোরে এবং কক্ষে সার্কিটব্রেকার রাখা; কর্মচারীদের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারে প্রশিক্ষণ থাকা এবং সিঁড়িসহ সব পথ বাধামুক্ত রাখা। কিন্তু এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হাসপাতাল এসব নির্দেশন বাস্তবায়ন করেনি।

ফায়ার সার্ভিসের ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা উল্লেখযোগ্য হাসপাতালগুলো হল- ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, আগারগাঁও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল, আগারগাঁও জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, শেরেবাংলা নগর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্কয়ার হসপিটাল লি., বিআরবি হাসপাতাল লি., জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল, ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হসপিটাল লি., ল্যাবএইড কার্ডিওলোজি হসপিটাল লি., ইবনে সিনা হাসপাতাল, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., ঢাকা শিশু হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর ট্রমা সেন্টার অর্থোপেডিক হসপিটাল, ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (১৬টি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ), কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বারডেম হাসপাতাল, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, মানোয়ারা হাসপাতাল (প্রা.) লি., আদ্-দ্বীন হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, খিদমাহ হাসপাতাল, খিলগাঁও গ্রিন ভিউ ক্লিনিক, ধানমণ্ডি জেডএইচ শিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল, হাজারীবাগ ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ সেন্ট্রাল হসপিটাল লি., গ্রিন লাইফ হসপিটাল লি., কমফোর্ট নার্সিং হোম, সিটি হসপিটাল লি., বাংলাদেশ আই হসপিটাল, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কেয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, আল-রাজী হাসপাতাল, সালাউদ্দিন স্পেশালাইজড হাসপাতাল লি., মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, পদ্মা জেনারেল হাসপাতাল, মাতুয়াইল মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতাল, হিকমা স্পেশালাইজড চক্ষু হাসপাতাল, ধানমণ্ডি হাসপাতাল (প্রা.) লি., গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল, ধানমণ্ডি ক্লিনিক (প্রা.) লি. এবং আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতাল লি.।

অতিঝুঁকিপূর্ণ হাসপাতালের তালিকায় রয়েছে- শমরিতা হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার ইন্সটিটিউট হাসপাতাল, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার-২, ক্রিসেন্ট গ্যাস্ট্রোলিভার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল, ধানমণ্ডি জেনারেল অ্যান্ড কিডনি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইন্সটিটিউট, বিএসওএইচ হাসপাতাল, প্যানোরমা হসপিটাল লি., ধানমণ্ডি মেডি এইড জেনারেল হাসপাতাল লি. এবং মেরিস্টোপ বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here