খবর৭১ঃ কিছুক্ষণ আগে এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, হেঁটেহেঁটে সবার উদ্দেশে হাত নাড়িয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন তিনি। কারও সাহায্য ছাড়াই এভাবে হেঁটে গিয়ে গাড়িতে চড়েন ওবায়দুল কাদের।
এসময় তার সঙ্গে রয়েছেন তার স্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে সিঙ্গাপুরে তার সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী জানিয়েছিলেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় সেতুমন্ত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হবে।
এর আগে ৪ এপ্রিল রাতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের টিপু জানিয়েছিলেন, ওবায়দুল কাদের বর্তমানে সুস্থ। ওবায়দুল কাদের বর্তমানে সুস্থ। শরীরের উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকলে শুক্রবার বা শনিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেতে পারেন ওবায়দুল কাদের।
তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও এখনই দেশে আসছেন না সেতুমন্ত্রী। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আরও কিছু দিন তিনি সিঙ্গাপুরে থাকবেন। মঙ্গলবার রাতে এমনটিই জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এই জনসংযোগ কর্মকর্তা।
আজ শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন দিনাজপুর-২ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।
ছবিতে দেখা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের হুইপ ইকবালুর রহিম বসে আছেন। মাঝে বসা সড়ক ও সেতুমন্ত্রীকে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী ও প্রাঞ্জল দেখাচ্ছে।
ছবির ক্যাপশনে ৫-০৪-১৯ তারিখ যুক্ত করে হুইপ ইকবালুর রহিম লিখেছেন- ‘আজ সকালে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল। আমাদের প্রিয় কাদের ভাই এখন সম্পূর্ণ সুস্থ।’
গত ৪ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে চিকিৎসার জন্য মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদের এখন সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কেবিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি বর্তমানে চিকিৎসক ও তার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছেন।
প্রসঙ্গত গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের।
সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পর দিনই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়।
গত ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।