ওসিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে গণধর্ষণের মামলা

0
466

খবর৭১ঃ অপহরণ ও গণধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী মিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন এক নারী (২৭)। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জয়শ্রী সমদ্দার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগের বিষয় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আ.স.ম মাহমুদুল হাসান ও মোছা. লাইজু। এছাড়া মো. শফিকুল ইসলাম রনি, মো. সাগর, মো. শামীম, মো. আলাউদ্দিন দেলোয়ার হোসেন, মো. হানিফ, মো. স্বপন, বিলকিস আক্তার শিলা ও ফারজানা আক্তার শশী। এ ব্যাপারে যাত্রাবাড়ী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ঘটনার দিন তিনজন নারীকে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে আটক করা হয়। তাদেরকে অসামাজিক কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিএমপির ১০০/৭৪ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়। আদালতে তারা ঘটনা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে জরিমানা দিয়ে মুক্তি পায়। এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার আমরা জানতে পারি, অভিযুক্ত এক নারী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আরো পড়ুন: ফিফা ওয়ার্ল্ড র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষ দশে জায়গা পেল না আর্জেন্টিনা মামলায় বলা হয়, পূর্বপরিচিত আসামি শফিকুল ইসলাম রনি বাদীকে গত ১২ মার্চ অনলাইনে থ্রি পিস ও শাড়ি কেনা-বেচার একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার কথা বলে করাতিটোলার ফারজানা আক্তার শশী ও বিলকিস আক্তারের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। এরপর তাদের সহযোগিতায় বাড়ির মালিকের ছেলে আসামি স্বপন তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন। বাদী ডাক-চিৎকার দিলে আসামি শশী ও শিলা তার গলায় বটি ঠেকিয়ে মেরে ফেলার এবং ধর্ষণের ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর জীবন, বিপ্লব, হানিফ, সাগর ও আলাউদ্দিন বাদীকে মারধর ও বিবস্ত্র করে। তারাসহ আরো ১০/১২ জন লোক ইয়াবা সেবন করে বাদীকে ধর্ষণ করে। সেখানে বাদী অসুস্থ হয় এবং সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পরে পালিয়ে যায়। পরে বাদী যাত্রাবাড়ী থানায় যায়। সেখানে ওসিকে না পেয়ে এসআই প্রদীপ কুমার ও আয়ান মাহমুদকে জানায়। তারা আসামি এসআই লাইজুকে দায়িত্ব দেন। লাইজু ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামি শশী ও শিলাকে ১৮ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করে। এরপর এসআই লাইজু বাদিনীকে প্রস্তাব করেন যে, ওসি ওয়াজেদ, এসআই, প্রদীপ কুমার ও আয়ান মামুদকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দিলে ধর্ষণের মামলা হবে। না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে। পরে গত ১৮ মার্চ ঘুষের টাকা না দিতে পারায় বাদিনীকে পতিতা সাজিয়ে আসামি শিলা ও শশীকে আদালতে প্রেরণ করেন ওসি ওয়াজেদ, এসআই, মাহমুদুল হাসান ও লাইজু। মামলায় বলা হয়, আসামি শশী এবং শিলা ইয়াবাসহ গ্রেফতার হলেও ওই সম্পর্কে কোন মামলা হয় নাই। উল্টো বাদিনীকে পতিতা সাজিয়ে আদালতে পাঠানো হয় এবং বাদিনীকে ধর্ষণের ঘটনা চাপা পড়ে যায়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here