খবর ৭১ঃ প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীদের যৌনপল্লিতে বিক্রির চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মুঠোফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌনপল্লিতে বিক্রির চেষ্টাকালে গতকাল বুধবার রাতে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ এক কিশোরীকে (১৬) উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ মিজানুর রহমান ওরফে জিয়ারুল ইসলাম (৩৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওই কিশোরীর বাড়ি হবিগঞ্জের সদর উপজেলায় হলেও থাকত সাভারে। জিয়ারুলের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, মুঠোফোনে ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন জিয়ারুল। জরুরি কথা আছে বলে সাভারের বাইপাইল বাজারে কিশোরীকে ডেকে নেন তিনি। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে বিয়ের কথা বলবে বলে তিনি ওই কিশোরীকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় নিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে যৌনপল্লির প্রধান গেটের কাছে কিশোরীকে বিক্রির চেষ্টা করেন তিনি। স্থানীয় কয়েকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে দশটার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ সময় মিজানুর রহমান ওরফে জিয়ারুল ইসলামকে আটক করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার গোয়ালন্দ ঘাট থানা হেফাজতে উদ্ধার হওয়া কিশোরী জানায়, দেড় মাস আগে জিয়ারুলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাকে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে বুঝতে পেরে সে বাড়িতে বড় ভাবি ফোন দিয়ে জানায়। থানায় উপস্থিত কিশোরীর বাবা বলেন, ‘অল্পের জন্য আমার মেয়ে রক্ষা পেয়েছে।’ তিনি দোষী ব্যক্তির কঠিন শাস্তি দাবি করেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এজাজ শফী বলেন, এ ঘটনায় আজ থানায় মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মিজানুর ওরফে জিয়ারুলকে আজ দুপুরে রাজবাড়ীর মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠানো হয়েছে।