খবর৭১ঃ আমরা কারও সাথে যুদ্ধ করি না, যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চান বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ এটাই বলবো যেহেতু মিয়ানমার আমাদের একেবারেই প্রতিবেশী তাদের সঙ্গে কখনও সংঘাতে যাবো না। বরং আলোচনার মাধ্যমে তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) যেন তারা ফিরিয়ে নিয়ে যায় সেই প্রচেষ্টাই আমাদের অব্যাহত থাকতে হবে এবং সেভাবে সকলে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা কারও সাথে যুদ্ধ করি না, যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সাথে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। জাতির পিতা যেই নীতিমালা দিয়ে গিয়েছিলেন- সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি এবং সেই নীতিমালা নিয়েই আমরা চলছি।’
এ সময় সেনাদের শান্তি মিশনে পাঠানোর আগে প্রশিক্ষণের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। টানা তৃতীয় মেয়াদ ক্ষমতায় আসার পর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দৃঢ় করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, মানবিক কারণেই আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা ঝগড়া বাঁধাতে যাইনি। আমরা আলোচনা করেছি, চুক্তি সম্পন্ন করেছি। তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এখনও কাজ করে যাচ্ছি।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের নিজেদের অভিজ্ঞতা আছে। ১৯৭১ সালে আমাদের ১ কোটি মানুষ শরণার্থী ছিল। কাজেই তাদের নিয়ে এসে পুর্নবাসন করতে হয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।’