খবর৭১ঃ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ফেলে যাওয়া এক নারীর মরদেহ থেকে মিলেছে ১৫শ পিস ইয়াবা। ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চিকিৎসকরা লাশের পেটের ভেতরে ৫৫টি প্যাকেটে মোড়ানো অবস্থায় এই ইয়াবাগুলোর সন্ধান পায়। ওই নারীর আনুমানিক বয়স ৪০ বছর। তবে এখনও তার পরিচয় জানা যায়নি। পরিচয় জানতে তার আঙুলের ছাপ নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ওই নারীর ময়নাতদন্ত করা হয়। তখনই তার পেটে ইয়াবার প্যাকেটগুলো পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান এএম সেলিম রেজা।
তিনি বলেছেন, ময়নাতদন্তের সময় ওই নারীর পাকস্থলীতে মোট ৫৭ প্যাকেট ইয়াবা পাওয়া যায়। যার মধ্যে দুটি প্যাকেটে থাকা ইয়াবা গলে গিয়েছিল। বাকি ৫৫টি প্যাকেটে ১৫শ ট্যাবলেট পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
শেরেবাংলানগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, সোমবার সন্ধ্যার আগে দুজন লোক ওই নারীকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরই ওই দুই ব্যক্তি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসার কথা বলে চলে যান। তারা আর ফিরে আসেনি। মঙ্গলবার সারাদিনও কেউ লাশ নিতে না আসায় শেরেবাংলা থানা পুলিশ তা গ্রহণ করে। এর পর গতকাল তা ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে। লাশটি নিয়ে আসা ওই দুই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, ওই নারীর ফিঙ্গার প্রিন্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের ভাণ্ডারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কারও সঙ্গে তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলেনি। তারপরও আমরা পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করছি।