খবর৭১ঃ বনানীর আগুন লাগার পরপরই দুইটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ওপর থেকে পানি ও বালি ছেটায়। একপর্যায়ে ওই ভবনের ৫০ থেকে ৬০ ফুট উঁচুতে এসে ছাদে আশ্রউ নেওয়া দুইজনকে উদ্ধারও করে। তবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া দুটি হেলিকপ্টারের বাতাসের কারণে একপর্যায়ে আগুনের তীব্রতা আরও বেড়ে যায়। বনানী অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলে আসা একটি হেলিকপ্টার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘এ ধরনের আগুনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার উপকারের চেয়ে অপকার বেশি। কর্তৃপক্ষের চিন্তাভাবনা ছিল যেহেতু অনেকে ছাদে আছেন, তাদের জীবন বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। দুই থেকে তিনবার হেলিকপ্টার যখন একটু বেশি নিচে নামে তখন প্রচুর বাতাস হয়, আগুনের তীব্রতা তখন বেড়ে যায়। পরে যখন আমরা তাদের বলি যে, আগুন বাড়ছে তখন হেলিকপ্টার চলে যায়। একই ঘটনা ঘটেছিল বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডেও’।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড হয়। এতে এক শ্রীলংকান নাগরিকসহ মোট ২৬ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৭৩ জন। ভবনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র কিংবা রান্নাঘরের ওভেন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।