খবর৭১ঃ হুমকি ছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলেই তুলে নিয়ে যাবে। এমন হুমকিতেই চলমান এইচএসসির প্রথমদিনের পরীক্ষায় বসা হয়নি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমইল ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী বিউটি খাতুনের।
তবে পুলিশি পাহারায় মঙ্গলবার দ্বিতীয়দিনের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে এই শিক্ষার্থী। এর আগে বিষয়টি উল্লেখ করে সোমবার আদালতে মামলা করে বিউটি খাতুন।
ছাত্রীর ভাষ্য, তার বোনের স্বামী তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন। প্রেম করে বিয়ের অপরাধে স্বামীর কাছ থেকে দূরে রাখতেই এমন পরিকল্পনা করেন তার দুলাভাই।
বিউটি খাতুন উপজেলার মাধাইমুড়ি গ্রামের বাবর আলীর মেয়ে। সাত মাস আগে পরিবারের অমতে উপজেলার তেলীপুর গ্রামের মন্টু প্রামানিকের ছেলে সিরাজুল ইসলামকে বিয়ে করে বিউটি। বিয়ের পর স্বামীর বাড়ি থেকে বিউটি লেখাপড়া করে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়।
স্বামী সিরাজুল ইসলাম বলেন, সোমবার তারা এ বিষয়ে আদালতে মামলা করেছেন। ওই রাতেই পুলিশ তাদের বাড়িতে যায়। নিরাপত্তাসহ বিউটিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশি নিরাপত্তায় পরীক্ষা দেয় বিউটি।
বাগমারা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, হুমকিতে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়া হচ্ছে না জানতে পেরে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। যতদিন ছাত্রী পরীক্ষা দেবে তাকে পরীক্ষাকেন্দ্রে আনা-নেয়া করবে পুলিশ। বোনের স্বামীসহ পাঁচজনের নামে ওই ছাত্রী মামলা করেছে। এ মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।
বিউটি খাতুন জানায়, চার বছর প্রেমের পর সিরাজুলকে বিয়ে করি। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমার বোনের স্বামী ভবানীগঞ্জ পৌরসভা এলাকার একডালা গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য উঠেপড়ে লাগেন। এরই অংশ হিসেবে বাবার বাড়িতে ডেকে নিয়ে আমার স্বামীর ওপর নির্যাতন চালান জাহাঙ্গীর। জিম্মি করে পরে সিরাজুলকে দিয়ে তালাকনামায় সই করিয়ে নেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই আমার স্বামীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর থেকেই অব্যাহত হুমকি পাচ্ছি আমরা।