জণ্ডিস থেকে মুক্তির উপায়

0
809

খবর৭১: এখন বর্ষাকাল আর বর্ষা মানেই দেখা দেয় জণ্ডিসসহ একাধিক রোগ। এর মধ্যে জণ্ডিস একটি জটিল রোগ। কিন্তু এ রোগ থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন তা জেনে নেয়া যাক।

সাধারণত এটি ভাইরাস জনিত সমস্যা। এই রোগের ক্ষেত্রে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে যায়। জণ্ডিস মূলত ৩ ধরনের হয়। প্রি-হেপাটাইটিক, হেপাটাইটিস, পোস্ট-হেপাটাইটিক।

থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হয় প্রি-হেপাটাইটিক জণ্ডিস, হেপাটাইটিস ভাইরাস থেকে হয় জণ্ডিস বা হেপাটাইটিস। আর পোস্ট-হেপাটাইটিক হয় কখনো কোনও অপারেশন কিংবা শরীরে স্টোন বা টিউমার থেকে।

ভাইরাল হেপাটাইটিস থেকে জণ্ডিসের লক্ষণ হলো বমি ভাব, খেতে অনীহা, হলুদ প্রস্রাব হবে। এছাড়া চোখ হলুদ হবে। সেই সঙ্গে থাকবে জ্বর, পেটে ব্যথা। থ্যালাসেমিয়া থেকে জণ্ডিস হলে তার কোনও লক্ষণ থাকে না। সেক্ষেত্রে অ্যানিমিয়ার লক্ষণ দেখা যায়। সঙ্গে বুক ধড়ফড়, মাথাব্যথাও হতে পারে। সাধারণত যারা বাইরের খাবার খুব বেশি খায় তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। বাইরের পানি খাওয়ার অভ্যাস খুব বেশি দায়ী। বর্ষাকালে হেপাটাইটিস ই সবচেয়ে বেশি হয়। পানির দ্বারা এই ধরনের ভাইরাস খুব সহজে একদেহ থেকে অন্য দেহে ছড়ায়।

মুক্তির উপায়:
এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে যে কাজটি করতে হবে তা হলো জরুরি ভিত্তিতে টিকা নিতে হবে। বর্তমানে শিশু জন্মের পরই দেওয়া হয় এই টিকা। তবে যাদের এই টিকা নেওয়া নেই তারা যে কোনও বয়সেই সেটা নিতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার আগে অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা (হেপাটাইটিস বি সারফেস অ্যান্টিজেন) করে হেপাটাইটিস ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করেছে কি না তা দেখে নেওয়া উচিত। রেজাল্ট নেগেটিভ হলে ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এই টিকার ৩টি ডোজ আছে। প্রথম ডোজ নেওয়ার ১ মাসের মাথায় দ্বিতীয়টি, ছয় মাসের মাথায় তৃতীয়টি নিতে হবে। সেই সঙ্গে অবশ্যই যেখানে সেখানে পানি পান করার অভ্যাস পাল্টাতে হবে।
খবর৭১/জি:

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here