প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের লাউড়গড়ে পাচারের সময় ৩ কার্টন ভারতীয় মদ আটক করেছে বিজিবি। কিন্তু সোর্স পরিচয়ধারী বিভিন্ন মামলার আসামীদেরকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এব্যাপারে এলাকাবাসী জানায়,জেলার তাহিরপুর উপজেলার লাড়উগড় ও চাঁনপুর সীমান্তের বারেকটিলা ও জাদুকাটা নদী দিয়ে প্রতিদিনের মতো গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সীমান্ত চোরাচালান সিন্ডিকেডের সদস্য একাধিক মামলার আসামী মাহাতাবপুর গ্রামের আলী আহমদের ছেলে রফিক মিয়া(নবীকুল),লাউড়গড় গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে জজ মিয়া,একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আমিনুল মিয়া,পুরান লাউড় গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে এরশাদ মিয়া ও বড়গোফ বারেকটিলা গ্রামের রফিকুল মিয়া,চাঁনপুর গ্রামের আবু বক্করগং ভারত থেকে মদ,গাঁজা,হেরোইন,ইয়াবা ও গরু,ঘোড়া পাচার করে বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত বারেকটিলা ও জাদুকাটা নদী দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় ক্যাম্পের সামনে জাদুকাটা নদীর বালুর চর থেকে বিজিবি মাত্র ৭২বোতল ( ৩ কার্টন ) ভারতীয় মদ আটক করে। কিন্তু উপরের উল্লেখিত চোরাচালানীদেরকে বাকি মালামালসহ হাতে নাতে পেয়েও গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। কারণ ভারত থেকে অবৈধভাবে পাচাঁরকৃত ১লড়ি পাথর থেকে ২০০টাকা,১বস্তা (৫০কেজিকয়লা) থেকে ১২০টাকা,১টি ঘোড়া পাচাঁরের জন্য ৮হাজার টাকা,১টি গরু থেকে ৫হাজার টাকা,১ফুট কাঠ থেকে ২০০টাকা চাঁদা নেওয়াসহ মদ,গাঁজা,নাসিরউদ্দিন বিড়ি,হেরুইন,ইয়াবা,কমলা ও অস্ত্র পাচাঁরের জন্য সাপ্তাহিক ও মাসিক ২০হাজার থেকে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত চাঁদা উত্তোলন করছে উপরের উল্লেখিত সোর্স পরিচয়ধারী আসামীরা। উত্তোলনকৃত চাঁদার টাকার মধ্যে শতকরা ৭০টাকা বিজিবি ক্যাম্প আর ৩০টাকা চোরাচালান সিন্ডিকেডের ১৮জন সদস্য ভাগভাটোয়ারা করে। এই সিন্ডিকেডে অন্যান্য সদস্যরা হলেন- লাউড়গড় গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া,সাহিদাবাদ গ্রামের শামসুলের ছেলে সেলিম মিয়া, লাউড়গড় গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আনসারুল মিয়া,পুরান লাউড় গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে আক্তার মিয়া,আব্দুল জলিলের ছেলে জসিম উদ্দিন,অলি ছোবাহানের ছেলে দিলহাজ মিয়া,সাহিদাবাদ গ্রামের আলী আকবরের ছেলে শহিদ মিয়া ও লাউড়গড় গ্রামের অজ্ঞাত আরো ১জনসহ বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের ফিরোজ মিয়াগং । এব্যাপারে লাউড়গড় বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার হাবিব বলেন,এসব বিষয় নিয়ে আমার সাথে আর কথা বলবেন না,যা বলার আমাদের সোর্সদের সাথে বলবেন।
খবর৭১/এসঃ