খবর৭১:ইইউ বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করা এবং সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসজে তিরিংক আজ এখানে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, ইইউ বাংলাদেশের নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখে সুশাসন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব রোহিঙ্গা সংকট, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং উন্নয়ন সহযোগিতার মতো পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একসঙ্গে কাজ ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে। ইইউ রাষ্ট্রদূত নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে অভিনন্দন জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বৈঠকে এলডিসি পরবর্তীতে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের আলোকে বর্তমান সম্পর্ক কিভাবে আরো জোরদার করা যায, সে সকল বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ইইউকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাবলিক প্রাইভেট অংশীদারিত্বসহ সরকার, ব্যবসা-বাণিজ্য, বেসরকারি সেক্টর, শিক্ষা ও সুশীল সমাজের প্রতিটি স্তরে অংশীদারিত্ব আরো জোরদারে অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হবার প্রত্যাশা করছে। লক্ষ্য ১৭ এর অধীনে একটি কার্যকর অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এমডিজি’তে অর্থায়নসহ অংশীদারিত্ব কিভাবে আরো জোরদার করা যায়, সে সকল বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
জবাবে ইইউ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে জ্বালানি ট্রান্সমিশন, ওয়েস্টওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রকল্পে ইতোমধ্যেই ইউরোপীয় ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) অর্থায়নের কথা উল্লেখ করেন।
খবর৭১/জি