খবর৭১ঃ বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১০০টি সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন শচীন টেন্ডুলকার। অথচ ক্রিকেটের এই বড়পুত্র বলেছেন, আমার বয়স যখন মাত্র ১০ বছর ছিল তখন ক্রিকেট নিয়ে এত কিছু জানতাম না। শুধু একটাই জানতাম যে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। টিম পেইনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়াকে টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ভারত। ঘরের মাঠে এই প্রথম টেস্টের সাদা পোশাকে এশিয়ার কোনো দলের বিপক্ষে সিরিজ হারল অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ইতিহাস গড়া বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রশংসা করে শচীন টেন্ডুলকার বলেন, এই ধরনের সিরিজ জয় সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আমার এখনও মনে আছে তখন আমার বয়স মাত্র ১০ বছর, ক্রিকেট নিয়ে এত কিছু জানতাম না। কিন্তু আমি শুধু এটা জানতাম যে আমরা বিশ্বকাপ জিতেছি। সেখান থেকেই আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। আশা করি সে রকম অনেকেরই যাত্রা শুরু হয়েছে। তাই এই ধরনের সিরিজ জয় তরুণদের অনুপ্রেরণা জোগাবে।
১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের এক নার্সিং হোমে জন্ম নেন ক্রিকেটের বড়পুত্র শচীন টেন্ডুলকার। মাত্র ১৬ বছর বয়সে টেস্ট ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়েআন্তর্জাতিকে অভিষেক হয় তার। ১৯৮৯ সালে ১৬ বছর বয়সে ক্রিকেটে অভিষেকের পর গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড। পৌঁছেছেন অনন্য উচ্চতায়।
ক্রিকেট বিশ্বে তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি সেঞ্চুরির সেঞ্চুরি করেছেন। এছাড়া ওয়ানডেতে প্রথম ব্যক্তিগত ২০০ রানের ইনিংসটিও তারই দখলে। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে জয় করেছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা।
মাত্র ২০ বছর বয়সেই টেস্টে করেছিলেন পাঁচ পাঁচটি সেঞ্চুরির রেকর্ড যা আজও কেউ টপকাতে পারেনি। ১৭ বছর বয়সে টেস্টে প্রথম সেঞ্চুরি করেন শচীন। টেস্ট ও ওডিআইতে সবচেয়ে বেশি রান ও সেঞ্চুরির মালিক টেন্ডুলকার ৩৬ বছর বয়সে ওডিআইতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেন।
২০০ টেস্টে ৩২৯ ইনিংস খেলে শচীন করেছেন ১৫৯২১ রান যাতে সর্বোচ্চ ইনিংস ২৪৮ রানের। ক্রিকেটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু আলোই ছড়িয়ে গেছেন এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়।
২০১২ সালে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেন শচীন। ২৩ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তিনি ৪৬৩ ম্যাচ খেলে ১৮৪২৬ রান করেছেন যার মধ্যে ৪৯টি সেঞ্চুরি রয়েছে আর সর্বোচ্চ ২০০ রানের ইনিংস।
একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ২০০৬ সালে। তবে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগে খেলছেন ২০১৩ পর্যন্ত।
খবর৭১/এসঃ