খবর৭১ঃ ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আজমপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করেন পোশাক শ্রমিকরা।
এ সময় পুলিশ তাদের টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে শ্রমিকরা রেললাইনের ওপর অবস্থান নেয়। পোশাক শ্রমিকরা ওই এলাকায় দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের জানিয়েছেন, আজমপুরে শাহজালাল অ্যাভিনিউয়ে পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন। পুলিশও দফায় দফায় টিয়ারশেল নিক্ষেপ করছে। এ সময় ওই এলাকায় প্রাণ গ্রুপের একটি গাড়ি ও একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
এদিকে আমাদের জানিয়েছেন, সকালে নিপা গার্মেন্টের সামনে পুলিশ ও পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ শ্রমিক ও পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন।
অন্যদিকে মিরপুরের কালশীর ২২তলা গার্মেন্ট এলাকায় অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন পোশাক শ্রমিকরা। এতে ওই এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ৮টার পর থেকে পোশাক শ্রমিকরা কালশী সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় পুলিশ দিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীর উত্তরার বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন পোশাককর্মীরা।
গতকাল সোমবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভে বাসে আগুন ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আর বাস শ্রমিকদের হামলায় এক পোশাক শ্রমিক আহত হন।
এদিন বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গাজীপুরে বিভিন্ন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় শ্রমিক-পুলিশ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে রোববার উত্তরা ও আবদুল্লাহপুরের বিভিন্ন গার্মেন্ট শ্রমিকরা একই দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ চলাকালে উত্তরখান এলাকায় শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনার একপর্যায়ে কে বা কারা গাড়িতে আগুন দেয়।
খবর৭১/এসঃ