সুন্দরগঞ্জে মহাজোটের শামীম নির্বাচিত

0
453

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী ব্যারিষ্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী (লাঙ্গল) ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫’শ ৫৮ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বেসরকারীভাবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ২০ দলীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান সরকার (ধানের শীষ) পেয়েছেন ৬৫ হাজার ১’শ ৭৩ ভোট। রবিবার ভোট গ্রহণ শেষে রাত ১০ টায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোলেমান আলী ফলাফল ঘোষণা দেন। এ আসনে ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১’শ ১১টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মোট ১১ জন প্রার্থী পারস্পারিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ আসনে মোট ভোট সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ১’শ ৪৯। এরমধ্যে ৭৯ দশমিক ৮০ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন, গণফ্রন্ট (মাছ) মনোনীত শরিফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (হাতপাখা) মনোনীত আশরাফুল ইসলাম খন্দকার, গণতন্ত্রীপার্টি (কবুতর) মনোনীত আবম শরিয়তুল্লাহ্ মাষ্টার, বংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) মনোনীত আলহাজ্ব হাফিজুর রহসান সর্দার, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হ্যাঁরিকেন) মনোনীত গোলাম আহসান হবীব মাসুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরুজা বারী (আপেল), সাবেক এমপি কর্ণেল (আবঃ) ডাক্তার আব্দুল কাদের খাঁন (কার গাড়ি) ও এমদাদুল হক (কুড়াল)।

সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫: গ্রেফতার ১৫
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি নিয়ে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় ৩ নারীসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলায় সোনারায় ইউনিয়নের পশ্চিম শিবরাম (পাঠানটারী) গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের পুত্র সাইদুর রহমান গং-এর সঙ্গে প্রতিবেশী আবুল হোসেনের পুত্র আব্দুল জলিল গং-এর সংঘর্ষ বাঁধে। এতে সাইদুর রহমান, আব্দুল জলিল, রবিউল ইসলামসহ ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাইদুর রহমান ও আব্দুর জলিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান স্বজনরা। সেখানে সাইদুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখা দেয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসরা তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এঘটনায় সাইদুর রহমানের ছোট ভাই শাহিন আলম, পারভীন বেগম, ময়না বেগম ও কাছমতি নামে ৩ নারীসহ ১৪ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো আব্দুল জলিল, রবিউল ইসলাম, আব্দুর রহিম, নুরুল হক, আলম মিয়া, বাদশা মিয়া, জবেদুল ইসলাম, স্বপন মিয়া, ফুল মিয়া ও কাজল মিয়া। এদের মধ্যে আব্দুল জলিল ও রবিউল ইসলাম পুলিশ প্রহরায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরির্দশক জিয়াউল হক জানান, অন্যান্য আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here