খবর৭১:রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ওই অবরোধ লঙ্ঘন করলে সেই দেশকে শাস্তি পেতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণার আগেই রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তি করেছিল নয়াদিল্লী। ফলে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সংঘাতে ক্রস ফায়ারের মুখে ছিল ভারত।
ভারতে এমন সঙ্কটের সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। ইরানের বিরুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবরোধ থেকে মুক্ত রয়েছে ভারত। এক্ষেত্রেও মূল ভূমিকা রাখেন ম্যাটিস। ম্যাটিসের সঙ্গে ভারত সরকারের দীর্ঘ দিনের সুসম্পর্ক থাকায় অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল মোদি সরকার।
বৃহস্পতিবার জেমস ম্যাটিস পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে তিনি পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্র যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত। মার্কিন প্রশাসনে ভারতের পক্ষে থাকা ভালো বন্ধু হারিয়েছে দেশটি।
রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনার চুক্তির পর ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশেষ আইন করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু সেখানে বাধ সাধে ম্যাটিস। গত ২০ জুলাই মার্কিন কংগ্রেসে তিনি চিঠি লিখে বলেছিলেন, ‘আমরা কি আমাদের সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরালো করব, নাকি এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করব, যাতে রাশিয়ার দিকে ঝোঁকা ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় না থাকে? এই মৌলিক প্রশ্নটা আমাদের নিজেদেরকেই করতে হবে।’ ম্যাটিসের এমন শক্ত অবস্থানের পর পিছু হটে ট্রাম্প প্রশাসন।
কূটনীতিকেরা মনে করছেন, সব সময় ট্রাম্পের সঙ্গে মত না মিললেও ম্যাটিস বরাবর ভারতের পাশেই থেকেছেন। ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে বুঝিয়েছিল, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক ভারসাম্য বজায় রাখার স্বার্থেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনা প্রয়োজন। ম্যাটিসের পরামর্শেই ভারতের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি মাসের প্রথম দিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন। তখন রুশ অস্ত্র কেনাকে কেন্দ্র করে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নিয়ে ম্যাটিস বলেছিলেন, ‘আমরা সব সমস্যার সমাধান করে দেব। আমার উপর আস্থা রাখুন।’
কিন্তু ম্যাটিসের হঠাৎ বিদায়ে মার্কিন প্রশাসনে বিশ্বস্ত বন্ধু হারিয়েছে ভারত।
খবর৭১/জি