উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল জেলার সবক’টি সিনেমা হল বন্ধ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শেষ ও বৃহত্তম চিত্রাবাণী সিনেমা হলটির জমিতে এখন নির্মাণ হচ্ছে মার্কেট। ফলে সেটি চালু হওয়ার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল। অন্যগুলোয় অনেক আগেই বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। কয়েক বছর আগেও জেলা সদরে তিনটি, লোহাগড়া উপজেলায় দুটি ও কালিয়া উপজেলায় একটি হল চালু ছিল। নড়াইল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মলয় কুমার কুন্ডু, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, সংস্কৃতি বিকাশে শক্তিশালী একটি মাধ্যম চলচ্চিত্র। এর মধ্য দিয়ে পারিবারিক, সামাজিক জীবন দেখানো হয়। বর্তমান প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালনা করতে ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ ও প্রদর্শনী খুব দরকারি কাজ। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত দর্শক সংকটে ধারাবাহিক লোকসানের মুখে পড়ে হল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন মালিকরা। জেলার প্রধান প্রেক্ষাগৃহ ছিল চিত্রাবাণী। আট-নয় বছর ধরে এখানে কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়নি, পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এখন এ হলের সামনের জমিতে নির্মাণ হচ্ছে মার্কেট। জেলার বাকি হলগুলোর মধ্যে সদরের গোবরা বাজারে আশা সিনেমা হলটি এখন পণ্য রাখার গুদাম, সিমাখালী এলাকায় অবস্থিত সিনেমা হলটিতে প্রায় ১০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে মাদ্রাসা। আর লোহাগড়া উপজেলার দুটি সিনেমা হলের একটিতে মার্কেট, অন্যটিতে কাঠের দোকান। কালিয়া উপজেলার একমাত্র আলপনা সিনেমা হলটিও পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। চিত্রাবাণী সিনেমা হলের কর্মচারীরা, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, একসময় এখানে মানুষের উপচে পড়া ভিড় ছিল। হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা বেকার হয়ে পড়েছেন, অন্য পেশায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নড়াইল জেলা তথ্য কর্মকর্তা ইব্রাহীম আল মামুন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, জেলার সব সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়া খুবই দুঃখজনক। তবে তিনি আশ্বস্ত করেন, তথ্য মন্ত্রণালয় সিনেমা হল চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলার সব বন্ধ সিনেমা হলের তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বিশেষ করে প্রতি জেলায় কমপক্ষে একটি সিনেমা হল ডিজিটাল সিস্টেমে চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, এ ব্যাপারে কার্যক্রম চালু রয়েছে।#