খবর৭১:রবিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে উড়োজাহাজটি দেশে পৌঁছালেও এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর।
এ উড়োজাহাজ যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি। দেশে পৌঁছার পর ড্রীমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হবে।
বিমানটি দেশে আনতে গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ারমার্শাল (অব.) ইনামুলবারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারী ও অপারেশন্স সেন্টারে যান।
বিমানের জনসংযোগ দফতরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। ইতোমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকী চারটি উড়োজাহাজ-ই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রীমলাইনার। এর প্রথমটি আগামীকাল দেশে আসছে, দ্বিতীয়টি এবছর নভেম্বর এবং সর্বশেষ দুটি ড্রীমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রীমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলোহলো-আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রীমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাবে বিমানটি। ড্রীমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
আকাশবীণায় আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ও ফোনকল করার সুবিধা পাবেন।
খবর৭১/জি: