খবর৭১:রবিবার (১৯ আগস্ট) ভোর ৪টা থেকে ফেরি চলাচল সীমিতভাবে চলাচল করছে। এতে পারাপারের অপেক্ষায় থাকা যানবাহনের তীব্র জট সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায় নাব্য সংকটের কারণে ভোর রাতে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি-লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। শনিবার সকাল থেকে স্বল্পপরিসরে কিছু ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসি’র শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারি জানান, বিকল্প চ্যানেলে পানির গভীরতা আছে ৪-৫ ফুটের মতো। কিন্তু ফেরি চালাতে প্রয়োজন সাড়ে ৭ ফুটের মতো। এই চ্যানেলটিতে বর্তমানে পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ কারণে পূর্বের সরাসরি মূল চ্যানেল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। তাও খুব সাবধানে পার হতে হচ্ছে চ্যানেল।
এছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও ভারী যানবাহনগুলোকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাট ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এরপরও ঘাট এলাকায় ৬ শতাধিক যানবাহন পারের অপেক্ষায় আছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে স্বাভাবিক সময়ে দৈনিক ৪ হাজারের মতো যানবাহন পারাপার হতো। সেখানে এখন দিন-রাত মিলিয়ে ৬ থেকে ৭ হাজার যান পার করেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
চাঁদপুর-হরিনা ঘাটেও বেড়ে গেছে যানবাহনের চাপ। ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী সাকুরা পরিবহনের এক চালক জানান, ‘সবচেয়ে বেশি জটিলতায় পড়েছে নিয়মিত কাঁঠালবাড়ি হয়ে চলাচলকারী প্রায় ৩-৪শ’ বাস। এগুলোকে এখন প্রায় ১২৫ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে পাটুরিয়া হয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
খবর৭১/জি: