খবর ৭১: সেই একই আসর, সেই একই দল আর সেই একই প্রতিপক্ষ। দূরত্বটা শুধু ঢাকা থেকে থিম্পু। সেই দূরত্ব জয় করতেই মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেটা আর হলো না, উল্টো গতবারের ফলাফলটা এবার যেন উল্টো করেই লেখা হলো। মারিয়াদের সামনে আবারো সুযোগ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার কিশোরীদের সেরা হওয়ার। কিন্তু সাফের গতবারের রানার্সআপ ভারত এবার আর বাংলাদেশকে সুযোগ দেয়নি। বাংলাদেশের কাছ থেকে শিরোপা ছিনিয়েই নিলো। সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশকে ০-১ গোলে হারিয়ে জয়োৎসব করলো ভারত।
থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে শিরোপা দখলের ম্যাচে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমন করার পাশাপাশি রক্ষণভাগও ঠিক রেখে খেলা চালিয়ে যায় শিরোপার দাবীদার দু’দল। তবে প্রথমার্ধ পর্যন্ত কোন গোলের দেখা পায়নি কোন দলই। বেশ কয়েকবার সুযোগ তৈরি করলেও তা অনুকূলে না থাকায় বল জালে পোঁছাতে পারেনি শামসুন্নাহার আর তহুরারা।
দ্বিতীয়ার্ধে আরো গতি বাড়িয়ে খেলা শুরু করে দক্ষিণ এশিয়ার দু’দলের কিশোরীরা। মারিয়াদের চাওয়া শিরোপা অক্ষুন্ন রাখা আর প্রতিপক্ষ ভারতের মধ্যে প্রতিশোধের তীব্র আকাঙ্খা। ২০১৭ সালের সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী টুর্নামেন্টে যে এই বাংলাদেশের কাছে ঠিক একই ব্যবধানে হেরেই শিরোপা হাতছাড়া করেছিল শিল্কী দেবীরা। তাই কালকের ম্যাচে অন্যরকমভাবেই লড়াই করছিল তারা। কিন্তু শামসুন্নাহারদের সঙ্গে পেরে দিচ্ছিল না।
তবুও ম্যাচের ৬৬ মিনিটে কর্ণার কিক থেকে আসা বলে বুদ্ধি খাটিয়ে একটি গোল করে ভারতের সুনীতা মুন্দি। আর ঐ গোলেই হয় স্বপ্নভঙ্গ। এরপর বারবার আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়না তহুরা খাতুনরা। কখনো বারে লাগে, কখনো বা ভারতীয় গোলরক্ষকের অসাধারণ সেভ আবার কখনো ডিফেন্ডারদের উল্টাপাল্টা বাইরের শট। ব্যস! শেষ মিনিটের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে মাতলো ভারতের কিশোরীরা। আর অন্যদিকে ভঙ্গ হৃদয়ে মাঠ ছাড়ে গোলাম রব্বানি ছোটনের শিষ্যরা।
ম্যাচের শেষদিকে অসাধারণভাবে চেষ্টা করলেও হয়তো ভাগ্যের সঙ্গেই পেরে ওঠেনি মারিয়া মান্দার দল। এবারের আসরে সমান সংখ্যক সর্বোচ্চ চারটি করে গোল করেছেন চারজন। বাংলাদেশের তহুরা খাতুন ও শামসুন্নাহার, ভুটানের চন্দ্র ভা-ারী এবং ভারতের দলনায়ক শিল্কী দেবী। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ভারতের নাওরিম দেবী। তবে আসরের ফিয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ডটি পেয়েছে বাংলাদেশ দল।