খবর৭১:কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন গরু ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, এতো গরুর মধ্যে সুস্থ-সবল গরু কেনাটা সহজ কাজ নয়। পাশাপাশি, কৃত্রিমভাবে নানা ওষুধ খাইয়ে মোটাতাজা গরুর ভিড়ে সত্যিকার স্বাস্থ্যবান ও সুস্থ গরু চেনাটাও বেশ কঠিন।
সাধারণত ছাগল বা অন্য পশুর চাইতে গরুর উপরেই এই ধরনের মোটাতাজা প্রক্রিয়া চালানো হয়। তবে একটু সচেতন হলেই এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সুস্থ গরু চেনার কিছু উপায়গুলো তুলে ধরা হলো:
১.অনেকে মনে করে মোটা গরু মানেই সুস্থ গরু। আসলে তা না, মোটা গরুতে চর্বি অনেক বেশি থাকে যা খাওয়ার পর মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাইয়ে অনেক সময় গরু মোটাতাজা করা হয়। তাই এ সব গরু হতে সাবধান।
২.ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর লক্ষণ হল মুখে অতিরিক্ত লালা বা ফেনা থাকা। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়, মনে হয় যেন হাঁপাচ্ছে আর প্রচণ্ড ক্লান্ত দেখায়।পাশাপাশি ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর গায়ে পানি জমার কারণে মাংস অত্যান্ত নরম হয়ে যায়।
এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পেছনের রানের মাংস পরীক্ষা করতে হবে। সুস্থ গরুর রানের মাংস থাকবে শক্ত। আর ট্যাবলেট খাওয়ানো গরুর ক্ষেত্রে তা হবে নরম। এই ধরনের গরুর প্রস্রাবের পরিমাণও কমে যায়।
৩.স্বাভাবিকভাবে গরুর গায়ে আঙুল দিয়ে চাপ দিলে মাংস একটু দেবে যায়। সুস্থ গরুর ক্ষেত্রে এই চাপ ছেড়ে দিলেই মাংস স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। তবে কৃত্রিম প্রক্রিয়ার মোটাতাজা করা গরুর গায়ে আঙুলের চাপ দিলে তা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে বেশি সময় নেবে।
৪.দেখতে হবে গরু চটপটে কিনা। শরীরে পানি জমার কারণে কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা গরুগুলো এক জায়গায় বসে থাকে, নড়াচড়া কম করে।
৫.গরুর কুঁজ মোটা ও টানটান থাকলে বুঝতে হবে গরুটি সুস্থ।
৬.শিং ভাঙা, লেজ কাটা, জিহ্বা, ক্ষুর, মুখ, গোড়ালি খত আছে কি না তা ভালো করে দেখে নিতে হবে।
৭.গরুর পাঁজরের হাড়ে যে তিন কোনা গর্ত থাকে যাকে ফ্লায়েন্ট জয়েন্ট বলে তাতে কোনা রয়েছে কিনা সেটি খেয়াল রাখতে হবে। যেসব গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয় সেগুলোর পাঁজরের স্থান ফোলা থাকে এবং সেখানেও মাংস থাকে।
৮.সুস্থ গরু চিনতে হলে পাঁজরের হাড়েও খেয়াল করতে হবে। সুস্থ গরুর পাঁজরের হাড়ে উঁচু নিচু থাকে এবং চোখে নড়াচড়া করবে।
খবর৭১/জি: