খবর ৭১: সূর্যের সবচেয়ে কাছের দৃশ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি স্পেসক্র্যাফ্ট (মহাকাশযান) পাঠাতে চলেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণাসংস্থা নাসা। আগামী ১১ আগস্ট ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণের পর এটিই হতে চলেছে সূর্যের উত্তপ্ত আবহমণ্ডল ‘করোনা’ অভিমুখে যাত্রা করা মানুষের প্রথম স্পেসক্র্যাফট।
নাসার গবেষকরা জানাচ্ছেন, এ অভিযানের মাধ্যমে করোনার আবহমণ্ডল বিশেষ করে সৌরঝড় সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানা যাবে।
নাসার গবেষক অ্যালেক্স ইয়ং সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমাদের কাছে করোনার আবহমণ্ডল খুবই অদ্ভুত ও অপরিচিত। পৃথিবীর আবহাওয়ার পাশাপাশি মহজাগতিক আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানাটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৯১ বছর বয়স্ক অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট ইউজিন পার্কারের নামে নামকরণ করা হয়েছে মহাকাশযানটি। সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬১ লাখ কিলোমিটার ওপর থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবে এবং প্রায় ১৩৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপের মধ্যে অবস্থান করবে মানবহীন স্পেসক্র্যাফ্টটি।
এ প্রজেক্টে নিযুক্ত একজন বিজ্ঞানী নিকি ফক্স সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এটি হতে চলেছে সাত বছরের একটি মিশন। এসময় করোনার মধ্যে দিয়ে স্পেসক্র্যাফটি ২৪ বার ভ্রমণ করবে।
স্পেসক্র্যাফ্টের কাঠামোটিতে রয়েছে কার্বন যৌগের ৪.৫ ইঞ্চি পুরু শিল্ড যা সূর্য থেকে পৃথিবীতে আসা রেডিয়েশনের চেয়েও ৫০০ গুণ বেশি রেডিয়েশন প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া ম্যাগনেটিক ও ইলেক্ট্রিক ফিল্ড, প্লাজমা তরঙ্গ এবং উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্টিকেল পরিমাপের জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে এতে।
উৎক্ষেপণের জন্য কাঠামোটি ইতোমধ্যেই ডেল্টা ফোর-হেভি রকেটের মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী শনিবার ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৪৮ মিনিটের লঞ্চ উইন্ডোতে সূর্যের অভিমুখে যাত্রা করার কথা রয়েছে এর।