নাইমুল হাসান কৌশিক জাবি প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি বাঁধার কারনে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাস বরাদ্দ না দেয়ার প্রেক্ষিতে এবং শিক্ষার্থীদের অনিরাপত্তার
মুখে উক্ত কর্মসূচি বাতিল করা হয়।কর্মসূচি সফল না হওয়ার পেছনে প্রশাসনিক অসহযোগীতাকেই দায়ী করছেন অান্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস না দেওয়ার প্রতিবাদ ও পূর্বের ৮ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেয় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা
সোমবার (০৬ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হওয়ার কথা।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান অান্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও সরকারী বাহিনীর বর্বর হামলার প্রতিবাদ ও ঢাকায় অান্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচী ঘোষনা করা হয়েছিল।
এই বিষয়ে জাবি সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু জানান, ‘রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম অসহযোগিতামূলক আচরণের কারনে শিক্ষার্থীরা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে পারে নি।’
‘বিশ্ববিদ্যালয় এর ডেইরী গেইট, সাভার ও বিভিন্ন স্পট এ পুলিশ সাঁজোয়া অবস্থান গ্রহণ করে এই কর্মসূচি কে প্রতিহত করতে।’
‘তা সত্ত্বেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। উদ্ভূত এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য আবেদন করলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তা নাকচ করে দেন।
এর আগে সকাল ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাদদেশ থেকে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচীর উদ্দেশ্যে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী শহীদ মিনারের প্রাদদেশে জমায়েত হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি শহিদ মিনারে আসে। সেখানে শিক্ষকরা উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে অনুরোধ করেন ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচী বাতিল করতে।
শহীদ মিনারে শিক্ষার্থীদের জমায়েতে শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘আমরা চাইনা আমাদের কোন শিক্ষার্থী ঢাকায় গিয়ে আহত হোক। আমাদের কোন শিক্ষার্থী আহত হলে আমাদের ভালো লাগবেনা। তাই তোমাদেরকে বলছি তোমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে কর্মসূচী বাতিল করো।’
শিক্ষকদের এই অনুরোধের পরও শিক্ষার্থীরা কর্মসূচী সফল করতে চায়। শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার থেকে পরিবহণ অফিসে যায়। সেখানে শিক্ষার্থীরা পরিবহণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তা বাস দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু কোন বাস দেওয়া না হলে প্রায় ঘন্টাব্যাপী পরিবহণ অফিসের সামনে অপেক্ষা করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফিরে যায়।
খবর ৭১/এসঃ