খবর৭১ঃ সড়ক পরিবহন আইনে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আইনে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ বছর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
সচিব জানান, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের জেল ও অর্থদণ্ড। অর্থদণ্ডের পরিমাণ আদালত নির্ধারণ করবেন। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর কারণে কেউ আহত হলে বা প্রাণহানি ঘটলে এই আইনে মামলা হবে। তবে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়ি চালানো হয়েছে বলে মনে হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ৩০২ ধারায় মামলা হবে। তদন্ত করে এবং তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে দূর্ঘটনার প্রকৃতি কী ছিল। ৩০২ ধারায় মামলা হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। আর যদি তদন্তে মনে হয়, হত্যার উদ্দেশ্যে নয়, বেপরোয়া চালানোর কারণেই দূর্ঘটনা ঘটেছে, তাহলে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৩ ধারায় মামলা হবে। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছর জেল, অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এই আইন অনুযায়ী মোটরযান মালিককে ২০০৬-এর শ্রম আইন অনুসারে মোটরযান চালকের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র করতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া ও চুক্তিপত্র ছাড়া কেউ কেউ গাড়ি চালাতে পারবে না। পেশাদার চালককে কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস ও ২১ বছর বয়সী হতে হবে। আর নিজের গাড়ি চালালে বয়স ১৮ বছর হতে হবে।
বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রিসভার আলোচ্যসূচিতে সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ার বিষয়টা ছিল না। বিবিধ বিষয় হিসেবে আইনের খসড়াটি আলোচনায় তোলা হয়। সোমবার (৬ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টার দিকে সচিবালয়ে বৈঠক শুরু হয়। বেলা দেড়টায় সচিব এ বিষয়ে ব্রিফিং শুরু করেন।
জানা যায়, এক বছর ঝুলে থাকার পর অবশেষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রিপরিষদের চূড়ান্ত অনুমোদন পেলো ‘সড়ক পরিবহন আইন’। গত বছর আইনটির খসড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেলেও শ্রমিক সংগঠনগুলোর আপত্তি ও কর্মসূচির হুমকির মুখে আর বেশিদূর এগোয়নি। কিন্তু গত ২৯ জুলাই রাজধানীতে সড়ক দূর্ঘটনায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইনটি আবারও মন্ত্রিসভায় তোলা হয়।