খবর ৭১ঃ স্বামীর বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে কান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্ত্রী মমতাজ বিবি (৪০) পলাতক রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে কলকাতার নারকেলডাঙায় ঘটেছে এ ঘটনা। গুরুতর আহত অবস্থায় মোহাম্মদ তানভীর (২০) নামে ওই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে পছন্দ করে বয়সে ২০ বছরের বড় মমতাজকে বিয়ে করেন তানভীর। তার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তানভীরের উপর অত্যাচার করে আসছিল অভিযুক্ত নারী। অত্যাচারের অতীষ্ট হয়ে বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে পালিয়েও যান তানভীর। কিন্তু প্রতিবারই তাকে বাড়িতে ধরে নিয়ে যেত অভিযুক্ত ও তার বোনেরা।
তানভীরের মা জানিয়েছেন,তার ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য কয়েকবার মমতাজকে হাতে-পায়ে ধরে অনুরোধ করেন তিনি। এমনকি তানভীরকে ছেড়ে দেওয়ার ‘বিনিময়ে’ একটি বাড়ি বিক্রির টাকা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেন মমতাজ। কিন্তু তারপরও তার ছেলেকে ছাড়েননি অভিযুক্ত নারী।
ছেলেকে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতেও দিত না মমতাজ এমনটাই অভিযোগ করেছেন তানভীরের মা।
তানভীর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি মল্লিকপুর পালিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে ধরে বাড়িতে নিয়ে আসে তার স্ত্রী। তারপরই তাকে বেধড়ক মারধর করে মমতাজ ও তার বোনেরা। শেষে ভোররাতের দিকে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে স্বামীর দুকান কেটে দেন মমতাজ।
এ সময় কোনোভাবে ঘটনাস্থলে থেকে পালাতে সক্ষম হন তানভীর। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়।
তানভীর আরও জানিয়েছেন, বড় ভাইয়ের এক বন্ধুর ফাঁদে পড়ে মমতাজকে বিয়ে করতে বাধ্য হন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় নারকেলডাঙা থানার পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার।
তারা অভিযোগ করেছেন,এই ঘটনায় প্রথমে কোন এফআইআরই নিতে চায়নি পুলিশ। পরে অভিযোগ নিলেও এখনও পলাতক রয়েছেন অভিযুক্তরা।
খবর ৭১/ইঃ