খবর ৭১ঃবাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ,প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালিত হলো নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে।
আজ রবিবার, ১৫ই জুলাই সকাল নয়টা ত্রিশ মিনিটে জাতীয় সংগীত ও পায়রা উড়ানোর মধ্যদিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকির কার্যক্রম। এরপর বিশ্ববিদালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা ও র্যালি, বিশ্ববিদালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করার পর র্যালিটি শহীদ মিনারের সামনে এসে গার্ড অফ অনার ও বঙ্গুবন্ধুর স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্পনের ও বৃক্ষ রোপনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়।এতে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য,ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান, প্রফেসর ইমেরিটাস-ডঃ এ কে আজাদ, নোবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এম অহিদুজ্জামান, উপ-উপাচার্য ডঃ আবুল হোসেন, রেজিস্টার ডঃ মুমিনুল হক,শিক্ষক সমিতির সভাপতি-ডঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন,অফিসার এসোসিয়েশনের সভাপতি-ডাঃ মোখলেসুর রহমান সহ সকল বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা -কর্মচারী বৃন্দ।
র্যালি পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় হয় এক বর্ণাঢ্য আলোচনা সভা।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকা প্রফেসর ডঃ এ কে আজাদ বলেন,”আমি জীবনে যত সমাবর্তন ও প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী তে গিয়েছি কোথাও এতো হল বর্তি উপস্থিতি পায়নি যেমন টা পেয়েছি নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমাদের কে অনেক বেশি ডেডিকেটেড লাইফ লিড করলে কখনো পিছনে ফেরার কোন দরকার হবে না।স্বপ্ন পূরণের সারথী হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হও।তোমরা তোমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের কাজে নিজেকে আত্ননিয়োগ করবে এবং সেই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় কে ঘিরে উপাচার্য মহোদয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করবে।মনে রাখবে,মানুষ নিজেই তার প্রেরণা হয়ে ডানা মেলে মুক্ত বিহঙ্গের মতো,ছুঁয়ে সফলতার নীল আকাশ কে”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ এম অহিদুজ্জামান বলেন,”আমরা নোবিপ্রবি কে একটি উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তরিত করবো।ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও স্নিগ্ধ পরিবেশ সৃষ্টি করবো।আমরা লাখো শহীদের স্বপ্ন কে বাস্তবায়ন করবো।নিজে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে আমরণ এই দেশের সেবা করবো।নকল আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স।”শিক্ষার্থীদেরর মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, এগ্রিকালসার নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী-রোখসানা আক্তার রুহি ও ফিশারিজ সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী -মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন।