খবর৭১:ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ জয়ের উচ্ছ্বাস তো রয়েছেই, সেই সাথে ভারতকে বাড়তি আনন্দ দিচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনির জোড়া বিশ্বরেকর্ড। ব্রিস্টল কাউন্টি গ্রাউন্ডে উইকেটকিপার হিসাবে ধোনি এমন দুটি মাইলফলক স্থাপণ করেন, যে নজির বিশ্বের আর কোনো ক্রিকেটারের নেই।
ধোনির জন্যই ভারতীয় বোলাররা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে দুশো রানের গণ্ডি টপকাতে দেয়নি। সেই ম্যাচে ধোনি একাই ধরেন পাঁচটি ক্যাচ। পান্ডিয়ার বলে মরগানের হাই ক্যাচ ধরার সময় স্ট্যাম্পের সঙ্গে ধাক্কা লাগলেও বল থেকে চোখ সরাননি মাহি।
পান্ডিয়ার বলেই ধোনি অ্যালেক্স হেলস ও বেন স্টোকসের ক্যাচও ধরেন তিনি। এ ছাড়া চাহারের বলে ধরেন জেসন রয়ের ক্যাচ এবং সিদ্ধার্থ কাউলের বলে ধরেন লিয়াম প্লাঙ্কেটের ক্যাচ। সব মিলিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ধরা প্রথম এবং একমাত্র উইকেট কিপার এখন ধোনি।
শুধু উইকেটকিপার হিসাবেই নয়, অন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এক ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ধরা প্রথম ফিল্ডারও ধোনি। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, ম্যাট প্রায়র, ড্যারেন স্যামিদের এই ম্যাচে চারটি করে ক্যাচ ধরার রেকর্ড রয়েছে। ব্রিস্টলে একটি রানআউটের পিছনেও ধোনির অবদান রয়েছে।
উইকেটকিপার হিসাবে ধোনি ছাড়া এক ম্যাচে পাঁচটি শিকার রয়েছে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদের। ২০১৫ সালে ওমানের বিরুদ্ধে তিনটি ক্যাচ ও দুটি স্ট্যাম্পিং করেছিলেন তিনি।
একই সঙ্গে ধোনি আরো একটি মাইলস্টোন টপকে যান। প্রথম উইকেটকিপার হিসাবে অন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পঞ্চাশটির বেশি ক্যাচ ধরেন তিনি। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার ক্যাচ সংখ্যা দাঁড়াল ৫৪।
তার মুকুটের নতুন দুটি পালক (একই ম্যাচে পাঁচটি ক্যাচ ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ৫০টি ক্যাচ) ছাড়াও সার্বিকভাবে ধোনির দখলে রয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সব থেকে বেশি ৩৩টি স্ট্যাম্প আউট করার রেকর্ড এবং ক্যাচ ও স্ট্যাম্প মিলিয়ে এই ফর্ম্যাটে সব থেকে বেশি ৮৭টি শিকারের নজিরও।
পাকিস্তানের কামরান আকমলের ২৮টি ক্যাচ ও ৩২টি স্ট্যাম্প মিলিয়ে মোট ৬০টি শিকার রয়েছে উইকেটের পিছনে। তিনি রয়েছেন তালিকার দুনম্বরে।
খবর৭১/জি: