খবর ৭১: নিপীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য স্থাপনা উন্নয়নে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
শুক্রবার এ অনুদান দেয়ার কথা জানিয়ে এডিবি বলে, সহায়তা প্রকল্পের প্রথম অংশ দিয়ে শরণার্থীদের জন্য মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ ও বিভিন্ন সেবার উন্নয়ন করা হবে। খবর রয়টার্সের।
কক্সবাজারে লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশকে ব্যাপক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন শুরু হলে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এডিবির প্রধান তাকিহিকো নাকাও বলেন, প্রকল্পের প্রথম ধাপে খাদ্যাভাব ও অন্যান্য ঝুঁকি কমাতে অবকাঠামোসহ বিভিন্ন সেবার উন্নয়নে কাজে লাগানো হবে।
গত মে মাসে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এডিবির বার্ষিক বৈঠকে ব্যাংকটির কাছে বাংলাদেশ সহায়তা চেয়েছিল।
প্রথম পর্যায়ে দুই কোটি ডলারের অনুদান সম্পূরক হিসেবে ধরা হয়েছে। ২-১/২ বছরে ১২ কোটি ডলার খরচ হবে বলে হিসাব করা হয়েছে।
মৌলিক খাদ্য মজুদ, বণ্টন কেন্দ্র, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও জরুরি প্রবেশ সুবিধার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সড়ক সংস্কার করা হবে।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও মৌসুমি ঝড়প্রবণ অঞ্চলে দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বাড়াতেও এ প্রকল্প কাজ করবে। এ জন্য আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ভূমিধস ঠেকাতে সুরক্ষা ব্যারিয়ার ও পয়োনিষ্কাশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে।
এর আগে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও সামাজিক সুরক্ষায় বাংলাদেশকে ৪৮ কোটি ডলার সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গত মাসে প্রথম কিস্তিতে চলমান একটি স্বাস্থ্য খাতসহায়ক প্রকল্পের জন্য পাঁচ কোটি ডলার মঞ্জুর করেছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কানাডা সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা যৌথভাবে রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য খাতের জন্য এ অনুদান দিচ্ছে।
কক্সবাজারে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা রোহিঙ্গা মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, কিশোর বয়সীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সেবা, জন্মনিয়ন্ত্রণ ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবায় এ অর্থ ব্যয় করা হবে।
খবর ৭১/ই: