হাবিবুর রহমান নাসির,ছাতক(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি :ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতক উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে গ্রামাঞ্চলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। পানিবন্দি মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ৫-৬দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ও নোয়ারাই ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। গ্রামীন রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া ছাতক সদর, কালারুকা, চরমহলা, দোলারবাজার, ভাতগাঁও, উত্তর খুরমা, দক্ষিন খুরমা, সিংচাপইড়, গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও, ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নসহ পৌরসভার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার, চেলা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নৌ-পথে ছোট-ছোট ফেরী নৌকা চলাচল প্রায় বন্ধ গেছে। প্রবল বর্ষনে সুরমা, পিয়াইন ও চেলা নদীতে পাথর ও বালুবাহী বার্জ-কার্গো ও বাল্কহেড নৌকায় লোডিং-আনলোডিং বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পাথর শ্রমিক। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে দু’য়েক দিনের মধ্যেই ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক তলিয়ে গিয়ে সারা দেশের সাথে ছাতকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে।
খবর৭১/এসঃ