মোঃ অালী হাসান: জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ প্রশাসন ও সমাজের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও আদিবাসী পল্লী গুলোতে রাতের অন্ধকারে
প্রায় প্রতিদিন একের পর এক বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মাদক ও বাল্যবিবাহ মুক্ত বাংলাদেশ গড়া।
সেই ধারাবাহিকতায় গত দেড় মাসে সারাদেশের ন্যায় জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে সফলতা অর্জন করলেও বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে তা অনেকটাই ব্যর্থতার প্রমাণ মিলেছে।সাধারণত অভিভাকদের অসচেতনতা ও প্রেম ঘটিত
কারনেই মূলত বাল্যবিবাহ নামে অভিশপ্ত জীবনে পা রাখছে স্কুল-মাদ্রাসা পড়ুয়া কিশোর-কিশোরীরা। অপরদিকে অভাব
অনটোনের কারনে গরীব,অসহায় ও গুচ্ছগ্রাম গুলোতেও দেখা মিলে বাল্যবিবাহের। কিছু অসাধু কাজী`র
কারনেই বাল্যবিবাহের সংখ্যা বাড়ছে।ওইসব কাজীদের সমর্থনে রেজিষ্ট্রি ছাড়াই চলে বিবাহ। সুশীল সমাজের দাবি প্রশাসনের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, অভিভাবক,শিক্ষক, ও স্বেচ্ছা সেবী সংগঠনগুলো বাল্যবিবাহ রোধে এগিয়ে
আসতে হবে। তাছাড়া সুধু প্রশাসনের একার পক্ষে এটি নির্মূল করা সম্ভব নয়।ইতিমধ্যে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোঃ ফরিদ হোসেন বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসা,হাট-বাজার,কমিউনিটি পুলিশিং এর মাধমে জন সচেতনতা মূলক জনসভা করেছেন। এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রভাষক মোস্তাফিজুর রহমান জানান,বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি জনসাধারণদেরও এগিয়ে
আসতে হবে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুলআলম বলেন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন
সর্বাত্নক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে উপজেলার
প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল ও আদিবাসী পল্লীতে বাল্যবিবাহের প্রভাবটা বেশি দেখা দিয়েছে।বাংলাদেশ দণ্ড বিধী ১৮৮ধারায় সরকারি
আদেশ অমাণ্য করায় গত এক সপ্তাহে বাল্যবিবাহের দ্বায়ে দুই জন অভিভাবক কে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল
হাজতেও পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ