উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নড়াইলের আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা মানহানি মামলার জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,সোমবার বিকেলে জামিন শুনানির ওপর আদেশ দেয়া হবে বলে আদালত ও আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে। এর আগে বেলা ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদের আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।এ সময় ঢাকা, খুলনা, যশোর ও নড়াইলের অন্তত ২০ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।গত ৫ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হলেও ‘নট মেইনটেনবেল’ বা ‘সমর্থনীয নয’ উল্লেখ করে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,সোমবার গত ১৬ এপ্রিল নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন করা হলে পরবর্তী দিন ৮ মে শুনানির জন্য ধার্য করেন আদালত। ৮ মে জামিন মঞ্জুর, নামঞ্জুর কোনোটাই হয়নি বলে জানান খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।পরবর্তীতে ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বে মামলাটি ‘উপস্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করে দেন। ওই দিন আদালত আরও বলেন, ‘মামলাটি ওই আদালতে (নিম্ন আদালত) শুনানি করে আসুন।’উচ্চ আদালতের ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ৩০ মে নড়াইলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে ৫ জুন শুনানির দিন ধার্য হয়। ৫ জুনের শুনানিতে আদালত ‘নট মেইনটেনবেল’ করে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে,সোমবার মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম (বর্তমানে জেলা পরিষদ সদস্য) বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন।ওই বছরের (২০১৫) ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক আছে বলে মন্তব্য করেন।এছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।’ তার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হয়।মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ হন। পরে রায়হান ফারুকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
খবর ৭১/ই: