উজ্জ্বল রায় নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর উপজেলাধীন ধোন্দা ও রতডাঙ্গা গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে ধোন্দা গ্রামের শিক্ষার্থীরা রতডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রতডাঙ্গা ঘাটে পৌঁছালে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাদেরকে নৌকা পার হতে দেয় না নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এর হস্তক্ষেপে পাঁচশত কোমলমতি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে করে ওই সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোটে, পুলিশ সুপার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এ সময় পুলিশ সুপারের সাথে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, নড়াইল জেলা বিশেষ শাখা’র ডিআইও-১ এস.এম ইকবাল আহম্মেদ, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়, সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাসহ নড়াইল জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যবৃন্দ। জানা গেছে, নড়াইল সদর উপজেলাধীন ধোন্দা ও রতডাঙ্গা গ্রামবাসীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন সকালে ধোন্দা গ্রামের শিক্ষার্থীরা রতডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রতডাঙ্গা ঘাটে পৌঁছালে একটি সংঘবদ্ধ চক্র তাদেরকে নৌকা পার হতে দেয় না। নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম এই খবর পাওয়ামাত্র নিজেই পুলিশের অন্যান্যা কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি নিজেই পাঁচশত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঘাট পার হয়ে বিদ্যালয়ে নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। পরীক্ষা শুরুর পূর্ব পর্যন্ত পুলিশ সুপার সেখানেই উপস্থিত ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ চক্রটি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পিপিএম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাকে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, গ্রাম্য কোন্দলকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে না দেওয়া চরম অমানবিকতার বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের কর্মকা-ের সাথে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়ার জন্য তিনি উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দেন। সেই সাথে তিনি আরও বলেন, এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দুই গ্রামের মধ্যে চলমান বিবাদ নিরসনে তিনি শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও জানান। এদিকে পাঁচশত শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সুযোগ করে দেওয়ায় ওই সকল শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, রবিবার (১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে নড়াইলের এসপি স্যারের কারণে তাদের সন্তানেরা পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এই মহৎপ্রাণ মানুষটির দীর্ঘায়ু কামনা করে অনেক অভিভাবকই দুই গ্রামের চলমান বিবাদ নিরসনে পুলিশ সুপারকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও অনুরোধ জানান।
খবর ৭১/ই: